Dacoity in Sonarpur

উদ্ধার ৪০ ভরি গয়না, ধৃত ছয়! সিসি ক্যামেরা দেখে ছ’দিনের মাথায় সোনারপুরে ডাকাতির কিনারা পুলিশের

শুক্রবার ভরসন্ধ্যায় সোনারপুরের একটি সোনার দোকানে ঢুকে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অপরাধীরা ধরা না পড়ায় সোনারপুর থানায় বিক্ষোভও দেখান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সোনারপুর শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৪৫
Share:

ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ছয় অভিযুক্ত। —নিজস্ব চিত্র।

নজরদার (সিসি) ক্যামেরার সূত্র ধরে সোনারপুরে সোনার দোকানের ডাকাতির কিনারা করল পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জনকে। ধৃতদের মধ্যে এক জন স্বর্ণব্যবসায়ীও রয়েছেন। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজও। ৪০ ভরি সোনার গহনা এবং ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত দু’টি মোটরবাইকও বাজেয়াপ্ত করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার ভরসন্ধ্যায় সোনারপুরের বারেন্দ্রপাড়ায় একটি সোনার দোকানে ঢুকে হামলা চালায় কয়েক জন দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ছিল, দু’টি বাইকে মোট চার জন দুষ্কৃতী আসে। তারা দোকানের ভিতর ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুটপাট চালায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় বাইক আরোহী দুষ্কৃতীদের স্থানীয় অটোচালকেরা ধরতে গেলে শূন্যে গুলি ছোড়া হয়। এর আগেও সোনারপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অপরাধীরা ধরা না পড়ায় সোনারপুর থানায় বিক্ষোভও দেখান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।

গয়নার দোকানের মালিক সজল পাড়ুই দাবি করেন, একাধিক বাইকে আসেন দুষ্কৃতীরা। চার জন দোকানের ভিতরে ঢোকেন। তার পর লকারের চাবি চেয়ে মালিককে মারধর করা হয়। তা-ও চাবি না দেওয়ায় বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে দোকানের মালিকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তার পর দোকান থেকে সমস্ত কিছু লুটপাট করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে চম্পট দেন দুষ্কৃতীরা। সজল বলেন, ‘‘রাত ৮টা নাগাদ তিন জন ভিতরে ঢুকে আমাকে লক্ষ করে গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু গুলি চলেনি। তার পর বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিল। গয়না ছাড়াও দু’লক্ষ টাকার মতো নগদ ছিল। সবই নিয়ে গিয়েছে। আমাদের চিৎকারে বাইরে অটোওয়ালারা ডাকাতদের আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ডাকাতদল গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়।’’

Advertisement

বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, ঘটনার পর থেকে জেলা জুড়ে পুলিশের সমস্ত বিভাগ এই ঘটনায় তৎপর ছিল। সমস্ত থানার ওসি এবং আইসিরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছিলেন বলে জানান তিনি। ৪০ গ্রাম সোনা, ১০০ গ্রাম রুপোর গয়না এবং নগদ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। অভিযুক্তদের সোনারপুর ও কুলতলি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement