ধৃত দুই অভিযুক্ত। নিজস্ব চিত্র।
সিঙ্গুরে খুনের ঘটনার চার দিনের মধ্যেই ২ দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলল পুলিশ। ধৃতেরা হল ইরশাদ আলম এবং ইনজামামুল হক। বিহারের সমস্তিপুর থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে সিঙ্গুর থানার পুলিশ। ঘটনার দিন যে বাইকে চেপে এসে দুষ্কৃতীরা খুন করেছিল সেটাও উদ্ধা হয়েছে। তবে খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্রের এখনও কোনও হদিশ মেলেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে ইরশাদের বাড়ি সিঙ্গুরের জয়মোল্লা গ্রামে। বিহারের বৈশালী জেলার নয়াগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ইনজামাম। গত ২০ বছর ধরে সিঙ্গুরের বেড়াবেরি পঞ্চায়েতের জয়মোল্লা গ্রামে ইরশাদের পরিবার বসবাস করছেন। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসের ধারে গাড়ির টায়ার পাংচার সারানোর দোকান রয়েছে তাদের। সিঙ্গুরে থাকলেও ইরশাদের আসল বাড়ি বিহারের নয়াগঞ্জেই। জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে বিহার থেকে মোটরবাইকে চেপে সিঙ্গুরে এসেছিল তারা। ছিনতাই করতে গিয়ে বাধা পেয়েই তারা গুলি চালিয়েছে বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে দুই অভিযুক্ত। তবে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ১৮ জুন শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে রাস্তাতে খুন হন সিঙ্গুরের ভেরি গ্রামের বাসিন্দা মনোজ মণ্ডল। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাড়ি ফেরার সময় মনোজ এবং তাঁর পরিবারকে অনুসরণ করে ইরশাদরা। জাতীয় সড়ক ছেড়ে গ্রামের রাস্তায় মোটর ভ্যান নিয়ে নামতেই ইরশাদরা পথ আটকে দাঁড়ায়। মনোজদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে তারা। বাধা দিতেই মনোজকে গুলি করে পালিয়ে যায় ইরশাদরা।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জাতীয় সড়কের ধারে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “পুলিশের সূত্র এবং সাইবার শাখার প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়।” তার পরই গত ২২ জুন বিহারে গিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ্যে নিয়ে আসা হয়।