নিজস্ব চিত্র
চাকরির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে যে পুলিশের সঙ্গে সারা দিন ধস্তাধস্তিতে জড়াতে দেখা গেল বিক্ষোভকারী নার্সদের, সেই পুলিশই তাঁদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। সোমবার রাতে স্বাস্থ্যভবনে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে এমনই ছবি দেখা গেল। গোটা দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভের পরেও রফাসূত্র না মেলায় আন্দোলন তুলে নেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। এর পর রাত বাড়তে থাকায় তাঁদের বাড়ির ফেরার কার্যত সমস্ত আয়োজনই করতে দেখা বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে।
সোমবার দুপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির জেরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল স্বাস্থ্যভবনের সামনে। তার পরেই সমাধান খুঁজতে বিক্ষোভকারীদের চার জন প্রতিনিধি সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠকের পরেও রফাসূত্র না মেলায় রাতের দিকে আন্দোলনকারীদের একাংশ আপাতত আন্দোলন তুলে নিয়ে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় আন্দোলনকারীদের সাহায্যার্থে পুলিশকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। এর পর পুলিশ আধিকারিকেরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে দু’-তিনটে বাসের ব্যবস্থা করেন। তার পরেই বেসরকারি বাসে চেপে হাওড়া ও শিয়ালদহের দিকে রওনা দিতে দেখা গেল বিক্ষোভকারীদের।
স্বাস্থ্যভবনে বিক্ষোভ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ আধিকারিক বললেন, ‘‘এত রাত হয়ে গিয়েছে। এত মেয়েরা আছেন বলেই ওঁদের জন্য এই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।’’ তবে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, রাতে বাড়ি ফিরতে হলেও আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারের জন্য কর্মসূচি তৈরিই রয়েছে।
মঙ্গলবারও স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভ হতে পারে আঁচ করে সোমবার রাতে ইলেক্ট্রনিক্স সিটি পুলিশের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হয়, এর পর স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করতে হলে রাজ্য পুলিশের ডিজির থেকে অনুমতি নিতে হবে। ডিজি অনুমতি দিলেই স্থানীয় থানা থেকে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হবে। এক আন্দোলনকারীও বললেন, ‘‘আমাদের ডিজি স্যারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে বলেছে। তার পর পুলিশ পারমিশন দেবে। আর তার পরেই আমরা স্বাস্থ্যভবনের কাছে জমায়েত হতে পারব।’’