ল্যান্ডমাইন উদ্ধার হল বেলপাহাড়ির জামিরডিহায়। রবিবার সকালে যৌথ বাহিনী গিয়ে মাইনটি নিষ্ক্রিয় করেছে। সিআরপি সূত্রে জানানো হয়েছে, জঙ্গলের মধ্যে বেশ শক্তিশালী মাইনটি পোঁতা ছিল। সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
পুলিশ এ নিয়ে তেমন কিছু বলতে চায়নি। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, “ওখানে একটা বোতল মিলেছে। কে বা কারা বোতলটি রেখে গিয়েছিল, তা দেখা হচ্ছে।” স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাইনটি নিষ্ক্রিয় করার সময় জোরে বিস্ফোরণ হয়। আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে।
ক’দিন আগেই ঝাড়গ্রামের জামবনিতে এক তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন। চন্দন ষড়ঙ্গী নামে ওই নেতাকে কুপিয়ে খুন করে যে ভাবে রক্তাক্ত দেহ ধানখেতে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল, তাতে উস্কে গিয়েছে জঙ্গলমহলের নাশকতার স্মৃতি। সেই আবহেই ফের বেলপাহাড়িতে মাইন মেলায় শোরগোল পড়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা বলেন, ‘‘দলীয়
কাজে কলকাতায় আছি। বিশদে না জেনে কিছু বলব না।’’ তৃণমূলের বেলপাহাড়ি ব্লক সভাপতি বুবাই মাহাতোরও দাবি, “ল্যান্ডমাইনের বিষয়টি জানি না।” বিরোধীরা মাওবাদীদের দিকেই ইঙ্গিত করছে। বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, “আত্মসমর্পণের নামে প্রাক্তন মাওবাদীদের পুলিশে ঢোকানো হয়েছে। সেটাই এখন বুমেরাং হচ্ছে।” ঝাড়গ্রাম জেলা কংগ্রেসের নেতা সুব্রত ভট্টাচার্যেরও মত, “শাসক দল প্রশাসনকে ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক পরিসর সঙ্কুচিত করছে। এর ফলে ঝাড়খণ্ড সীমানায় অগণতান্ত্রিক শক্তি ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে।”
চাকাডোবা-কাঁকড়াঝোড় রাস্তায় বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জামিরডিহা। এই গ্রামেই মাওবাদী নেতা মদন মাহাতোর স্ত্রী জবার বাপের বাড়ি। তাঁরা এখনও পলাতক। শনিবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে, রাস্তা থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে জঙ্গলে কিছু পোঁতা রয়েছে। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যৌথ বাহিনী মাটি খোঁড়ে। মেলে ল্যান্ডমাইন।