Tracheostomy

গলায় ফুটো করে বাতাস ঋষভকে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৩৮
Share:

পুলকার দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ঋষভ। ফাইল চিত্র

ভেন্টিলেশনে দীর্ঘদিন থাকা রোগীর স্বরতন্ত্রীতে ফুটো করে যে-ভাবে বাতাস জোগান দেওয়া হয়, স্কুলপড়ুয়া ঋষভ সিংহের সেই ‘ট্র্যাকিয়োস্টমি’ করা হয়েছে রবিবার। তবে হুগলির পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ঋষভ বা তার সহপাঠী দিব্যাংশু ভগতের সঙ্কট এখনও কাটেনি।

Advertisement

এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিয়ো থোরাসিক বিভাগে চিকিৎসাধীন ঋষভের ট্র্যাকিয়োস্টমির পরে চিকিৎসকেরা জানান, ভোকাল কর্ড বা স্বরতন্ত্রীর নীচে ফুটো করে এই পদ্ধতিতে এক ধরনের টিউব ঢোকানো হয় শ্বাসনালিতে। এর মাধ্যমে ফুসফুসে বাতাস পৌঁছে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। কাউকে দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনে রাখতে হলে এই পদ্ধতি ব্যবহার হয়। কারণ, ভেন্টিলেশনে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।

দিব্যাংশুরও শারীরিক অবস্থারও বিশেষ উন্নতি হয়নি। এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার রঘুনাথ মিশ্র জানান, নয়ানজুলির কাদাজল ঢুকে দুই খুদের ফুসফুস কার্যত অকেজো করে দিয়েছিল। সেই জায়গা থেকে দু’জনের এখন যা শারীরিক পরিস্থিতি, তাতে বলা যেতে পারে, চিকিৎসায় সাড়া মিলছে। দীর্ঘ ক্ষণ মস্তিষ্কে অক্সিজেন না-যাওয়ায় এবং শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে কতটা কী প্রভাব ফেলেছে, তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

দুর্ঘটনার দু’দিন পরেও পুলিশ সংশ্লিষ্ট স্কুলগাড়ির অন্যতম চালক শেখ শামিম আফরোজ আখতারের হদিস পায়নি। শেওড়াফুলির ছাতুগঞ্জের ওই বাসিন্দা দুর্ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। দুর্ঘটনার সময় অবশ্য গাড়িটি চালাচ্ছিলেন পবিত্র দাস। তিনি ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এখনও তাঁর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি পায়নি পুলিশ।

তদন্তে পুলিশ জেনেছে, খাতায়-কলমে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির মালিক সিঙ্গুরের বারুইপাড়ার রোহিত কোলে। যদিও রোহিত পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, গত মার্চে তিনি গাড়িটি শামিমকে বিক্রি করে দেন। পুলিশ অবশ্য এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র পায়নি। তবে শামিমই ওই গাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যাতায়াতের জন্য অভিভাবকদের সঙ্গে চুক্তি করতেন। জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘আমরা শামিমের সঙ্গে রোহিতকে মুখোমুখি বসিয়ে কথা বলতে চাইছি। তা হলেই পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু শামিম উধাও হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’’

দুর্ঘটনার সময় পুলকারে এক পড়ুয়ার মা-ও ছিলেন। পুলিশ তাঁর সঙ্গেও কথা বলতে চায়। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না। দুর্ঘটনায় আহত অমরজিৎ সাহা চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল বলে জানান সেখানকার চিকিৎসকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement