সুবোধের এই কথার সঙ্গে একই মত পোষণ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অভীক মজুমদার। তাঁর মতে, ‘‘কী কারণে এই পুরস্কার ফেরত সেটা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। তাঁকে বলব, এই পুরস্কারের কাঠামোটা জানার পর পদক্ষেপ করা উচিত। যাঁকে দেওয়া হয়েছে তাঁর সামগ্রিক ব্যাপারে অবহিত হলে ভাল হত।’’
মতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুবোধ সরকার। —ফাইল চিত্র।
সমাজের প্রতি এবং সাহিত্যে নিরলস অবদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ পুরস্কার দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি। তারই প্রতিবাদে অন্নদাশঙ্কর স্মারক সম্মান ফিরিয়ে দিলেন লেখক ও গবেষক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই সিদ্বান্ত ‘ব্যক্তিগত’ বলে মনে করছেন কবি সুবোধ সরকার। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘সামাজিক ভাবে যাঁদের বড় ভূমিকা রয়েছে এবং একই সঙ্গে যাঁরা সাহিত্য রচনা করছেন তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন এর প্রতিবাদে কেউ পুরস্কার ফেরত দিলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।’’
সুবোধের এই কথার সঙ্গে একই মত পোষণ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অভীক মজুমদার। তাঁর মতে, ‘‘কী কারণে এই পুরস্কার ফেরত সেটা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। তাঁকে বলব, এই পুরস্কারের কাঠামোটা জানার পর পদক্ষেপ করা উচিত। যাঁকে দেওয়া হয়েছে তাঁর সামগ্রিক ব্যাপারে অবহিত হলে ভাল হত।’’
ঘটনাচক্রে, সোমবার বিকেলে পঁচিশে বৈশাখ উদ্যাপনের যে সরকারি মঞ্চ থেকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি ব্রাত্য বসু পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুবোধও। এ ছাড়া সেখানে ছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, শ্রীজাত, জয় গোস্বামী এবং আবুল বাশারের মতো সাহিত্য ব্যক্তিত্ব।