মঙ্গলবার রাত ৯টায় শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে সুকান্তদের। ফাইল চিত্র ।
বাংলার বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে মঙ্গলবার আলোচনায় বসছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী। তাঁর পরিবর্তে বাংলার সাংসদেরা বৈঠক করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। কিন্তু কেন সময় দিয়েও বাংলার গেরুয়া সাংসদদের সঙ্গে দেখা করলেন না মোদী? প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ কারণেই মঙ্গলবার রাতে বাংলার সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বাতিল হওয়ায় সুকান্ত মজুমদারদের যে, একেবারেই হতাশ হতে হয়েছে এমনটাও নয়। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক বাতিল হওয়ার পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাত ৯টায় শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে সুকান্তদের।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন সুকান্তরা। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মোদীকে অবহিত করাই ছিল এই বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য। তবে আপাতত প্রধানমন্ত্রীর দেখা পাচ্ছেন না তাঁরা। পরিবর্তে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ‘শাহি সাক্ষাতে’র। মনে করা হচ্ছে শাহের সঙ্গে দেখা করে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদেরা রাজ্যের বর্তমান পরিস্থতি নিয়ে কথা বলবেন। ঝালিয়ে নেওয়া হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের রণনীতিও।
বিজেপির সাংসদদের আগে দিল্লি পৌঁছে, সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক হয় শাহ-শুভেন্দুর মধ্যে। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার আশঙ্কা নিয়েও আলোচনা হয় এই বৈঠকে।
২৯ মার্চ বুধবার ধর্নায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে পাল্টা ধর্নায় বসতে চলেছে রাজ্য বিজেপিও। শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে বিজেপির এই ধর্না কর্মসূচি হওয়ার কথা রয়েছে। ধর্না কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর। তাই শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কলকাতায় ফিরে আসবেন বিজেপি সাংসদেরা। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যস্তরের সব নেতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের দলীয় বিধায়কদের ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক শিবিরের উপর চাপ বাড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসার দিনেই পাল্টা ধর্নায় বসছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা। এমনটাই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।