করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মোদীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন মমতা।
করোনা পরিস্থিতি এবং ভ্যাক্সিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফের বৈঠক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই বৈঠক হবে আগামী ২৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার। এই মুহূর্তে বাঁকুড়া সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রবিবারই তিনি হেলিকপ্টারে বাঁকুড়া রওনা দেন। আগামী তিন দিন অর্থাৎ ২৩, ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বাঁকুড়া সফরে থাকবেন তিনি ৷ সূত্রের খবর, বাঁকুড়া থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন তিনি।
নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই জঙ্গলমহল সফর পূর্ব নির্ধারিত ছিল। আগামিকাল বাঁকুড়ায় দুটো কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। একটি প্রশাসনিক বৈঠক, অন্যটি প্রশাসনিক গণবন্টনের অনুষ্ঠান। তবে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের জন্য এই সফরে কিছু রদবদলও হতে পারে।
মূলত বড় রাজ্য এবং যে রাজ্যে করোনার প্রকোপ বেশি, সেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মোদী। সেখানে মমতাও থাকবেন।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠকে বিরোধী দলনেতা মান্নান
জানা গিয়েছে, করোনার প্রতিষেধক তৈরি, বণ্টন সংক্রান্ত বিষয় এবং সামগ্রিক ভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মোদীর সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। দেশে প্রতিষেধক তৈরির অগ্রগতি ও তা বণ্টনের প্রক্রিয়াটি দেখভালের জন্য এক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্তা, বিশেষজ্ঞেরা ছাড়াও এই কমিটিতে আছেন নীতি আয়োগের কর্তারা৷ দেশে করোনা প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে কতটা অগ্রগতি হয়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তাঁরা জমা দেন।
আরও পড়ুন: করোনা বিধি মেনেই জগদ্ধাত্রী পুজো প্রবর্তনের শহর কৃষ্ণনগরে উৎসবের আমেজ
শুক্রবারই ভ্যাকসিন তৈরি এবং তা দ্রুত কী ভাবে মানুষের হাতে পৌঁছতে পারে, তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর পর মোদী টুইটে লিখেছিলেন, ‘ভ্যাকসিন সংক্রান্ত দেশের নীতি কী হতে চলেছে এবং কী ভাবে অগ্রসর হওয়া যায়, তা নিয়ে একটি বৈঠক করলাম। ভ্যাকসিন তৈরির কাজ কত দূর, কত দ্রুত তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো যেতে পারে এবং কী ভাবে তা বাজারে আসতে পারে, এই সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হল’। তাঁর পরের টুইট ছিল, ‘বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে কারা আগে ভ্যাকসিন পাবেন, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতে দ্রুত এই ভ্যাকসিন দেওয়া যায় এবং তার পর কী ভাবে দ্রুত তা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, সে সবই উঠে এল আলোচনায়’।
সূত্রের খবর, এর পরই কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ওই ভার্চুয়াল বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেন মোদী।