স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া হল বেলুড় মঠ। সোমবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে চালু হয়েছে একগুচ্ছ নিয়ম। সেই বেড়াজালের মধ্যেই সোমবার থেকে খুলল বেলুড় মঠ। এলেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। দক্ষিণেশ্বরের মতো বেলুড়ে আসা দর্শনার্থীরাও মত দিলেন, এই সব নিয়ম তাঁদের ভালর জন্যই। সকলে সুস্থ ভাবে দর্শন করে বাড়ি ফিরতে পারবেন, এর থেকে বেশি তাঁদের কিছু চাই না।
লকডাউনের জেরে গত ২৫ মার্চ থেকে বেলুড় মঠে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ ছিল। ৮২ দিন পরে, এ দিন সকালে ফের মঠ খুলে দেওয়া হল। সকাল ৯টায় মঠের মূল গেট খোলার অনেক আগেই উল্টো দিকের ফুটপাতে তৈরি বাঁশের ছাউনির নীচে এসে অপেক্ষা করতে দেখা যায় ভক্ত ও দর্শনার্থীদের। সেখান থেকে মূল প্রবেশদ্বারের পাশের ছোট দরজা দিয়ে ভিতরে ঢোকেন সকলে। সেখানেই তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার পাশাপাশি হাতে জীবাণুনাশক দেওয়া হয়।
মঠ চত্বরে নির্দিষ্ট করা পথ দিয়েই ভক্ত-দর্শনার্থীরা এর পরে পৌঁছন শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী ব্রহ্মানন্দ, মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দের সমাধি মন্দিরে। এ দিন সকালে আশপাশের এলাকা থেকে কয়েকশো ভক্ত মঠে আসেন। নির্দিষ্ট পথে আঁকা চিহ্ন অনুসরণ করে সব ক’টি মন্দির দর্শনে সময়ও বেশি লাগেনি এ দিন।, আকাশ জোশী নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘‘সমস্ত ব্যবস্থাপনাই অত্যন্ত ভাল। সব কিছুই একটি নির্দিষ্ট পথ ধরে হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: রাজ্য মন্ত্রিসভায় কিছু দফতরের দায়িত্ব রদবদল!
আরতি দেখা, প্রসাদ খাওয়া, প্রেসিডেন্ট মহারাজের দর্শন ও প্রণাম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েও ভক্তদের মধ্যে আক্ষেপ নেই। তপতী বিশ্বাস নামে এক ভক্ত বলেন, ‘‘আগে মঠে এসে জপ, ধ্যান করলেও এখন সেই সুযোগ নেই। কিন্তু দর্শন তো করতে পারছি।’’ আপাতত সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা এবং বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিয়ম মেনে বেলুড় মঠে ঢোকা ও দর্শনের সুযোগ মিলবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার বাড়ছে: মুকুল রায়