গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
বাসন্তী হাইওয়ে যেন মৃত্যুফাঁদ। এই হাইওয়ের একটা বড় অংশই আঁকাবাঁকা। অজস্র বাঁকওয়ালা এই পথে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে। শীতকালে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায় দুর্ঘটনা আরও বেড়ে যায়। ঠান্ডা এখনও সে ভাবে পড়েনি। তার আগে বাসন্তী হাইওয়েতে বড় দুর্ঘটনা ঘটল মঙ্গলবার, ভাইফোঁটার দিন। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ যাত্রিবাহী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় চার জনের। গুরুতর জখম হন ১২ জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার দিক থেকে বাসন্তীর দিকে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ওই যাত্রিবাহী পিকআপ ভ্যানটি। সেই সময় উল্টো দিক থেকে একটি বাইক আসছিল। বাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পিকআপ ভ্যানটি রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইকচালক এবং পিকআপ ভ্যানের চালকের। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পরে সেখানে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন মহাদেব দাস (৩৫) এবং চন্দ্রনাথ ঘোষ (৪৯), বাকিবুল্লা শেখ (২৭) এবং নাসিরুদ্দিন গাজির (৩১)। প্রথম দু’জন বাইক আরোহী। তাঁদের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুরে। পরের দু’জন পিকআপ ভ্যানের চালক ও খালাসি। বাকিরা গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কর সংস্কারেই আস্থা মোদীর, আগামী বাজেটেই পদক্ষেপের সম্ভাবনা
আরও পড়ুন: জোর চমক ভাইফোঁটায়! বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে মমতার বাড়িতে শোভন
চালকদের সতর্ক করা সত্ত্বেও বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের দাবি। শীতকালে দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই হাইওয়েতে যথেষ্ট নজরদারির অভাব রয়েছে। বাসন্তি হাইওয়ের একাংশ কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। পুলিশি টলহদারি আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।