ফাইল চিত্র।
হতে পারে সপ্তাহে এক দিন। হতে পারে ১৫ দিন অন্তর। কিন্তু বসবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (পিজি) মুখ্যমন্ত্রীর বসার সেই জায়গার পরিকাঠামোয় কোনও ফাঁক রাখতে রাজি নয় প্রশাসন। শুক্রবারেই এসএসকেএম-কর্তৃপক্ষ ও নবান্নের তরফে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সক্রিয় নজরদারি চালাতে তিনি নিয়মিত সেখানে বসবেন। স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, পিজি-র উডবার্ন ব্লকের উল্টো দিকে অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের ন’তলায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কলেজ কাউন্সিলের মিটিং রুমে একসঙ্গে ২৫ জন বসতে পারেন। পাশে একটি ছোট ঘরে বসতে পারেন ৪-৫ জন। পূর্ত দফতরের শীর্ষ কর্তা, আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারেরা এ দিন সেই সব কিছু ঘুরে দেখেন।
প্রশাসনের অন্দরের খবর, মিটিং রুম সংলগ্ন ঘরে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। মিটিং রুমে থাকবে আলোচনার ব্যবস্থা। কোন ঘরে কী ধরনের পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন, পূর্ত আধিকারিকেরা তা খতিয়ে দেখেছেন। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পুরোটা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এ বার হবে পর্যালোচনা। হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পিজি-র ওই ভবনের নীচে অনেক গাড়ি দাঁড় করানো থাকে। প্রশাসনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য যেমন প্রয়োজন, তেমনটাই করা হবে।
২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই আচমকা বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শনে যেতে শুরু করেন মমতা। পরিষেবা সম্পর্কে নিজেই কথা বলতেন রোগীর স্বজনদের সঙ্গে। তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী-পদে শপথ নেওয়ার পরেও বিভিন্ন কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার তিনি বসবেন হাসপাতালেই। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী কোনও হাসপাতালে বসছেন। স্বাস্থ্য শিবিরের বক্তব্য, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ যে কাজে ফাঁকি দেন, সেটা সবাই জানে। পিজি-তে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থানকালে তাঁরা অন্তত তটস্থ থাকবেন। আর রোগীর আত্মীয়েরা বলছেন, ‘‘ঠিকমতো পরিষেবা না-পেলে মুখ্যমন্ত্রী বেরোনোর সময় অন্তত চিৎকার করে হলেও সরাসরি তাঁর কাছে অভিযোগ জানানো যাবে।’’