—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে আচমকাই দাম বাড়ল পেট্রল-ডিজ়েলের। রবিবার রাতে সূত্রের খবর, কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে পেট্রল লিটারে ১.০১ টাকা বেড়ে হয়েছে ১০৪.৯৫ টাকা। ডিজ়েল ১ টাকা বেড়ে ৯১.৯৬ টাকা। তবে দেশের বেশির ভাগ জায়গাতেই দাম অপরিবর্তিত। ওয়েস্টবেঙ্গল পাম্প ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রসেনজিৎ সেনের দাবি, “রাজ্য ফের ১ টাকা করে ভ্যাট বসিয়েছে। তাতেই চড়েছে তেল।” প্রশাসনিক সূত্র বলছে, এ রাজ্যে তেলের বিক্রয় করে লিটারে এক টাকা ছাড়ের সুবিধা শেষ হয়েছে রবিবার। এটাই কারণ। সে ক্ষেত্রে রাজ্য সুবিধার মেয়াদ বাড়ালে দাম ফের কমবে। তবে ওই ছাড় আবার কার্যকর হবে কি না, রবিবার রাত পর্যন্ত স্পষ্ট করতে পারেনি নবান্ন। সূত্রের বক্তব্য, আজ সোমবার এ নিয়ে হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য সরকার।
এর আগে জুনের গোড়ার দিকে বিশ্ব বাজারে বেশ খানিকটা সস্তা হয়েছিল অশোধিত তেল। গত ফেব্রুয়ারির পরে সেই প্রথম ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল পিছু দাম নামে ৮০ ডলারের নীচে। ডব্লিউটিআই নেমে আসে ৭০ ডলারের কাছাকাছি। ফলে ফের পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমানোর দাবি ওঠে দেশে। নতুন সরকারের উদ্দেশে বিশেষজ্ঞদের বার্তা ছিল, নির্বাচন শুরুর মুখে তেলের দাম লিটারে ২ টাকা কমলেও লাভ হয়নি। সাধারণ গৃহস্থের হেঁশেলের জন্য রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের মতো পরিবহণ জ্বালানিও যথেষ্ট চড়া। তাই আন্তর্জাতিক দাম আবার বেড়ে যাওয়ার আগে কম খরচে অশোধিত তেল আমদানির সুবিধা দ্রুত সাধারণ মানুষের ঘরে পৌঁছে দিক রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি।
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার সে সময় বলেছিলেন, ‘‘বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম কমলে ভারতবাসীর সেই সুবিধা পাওয়ার কথা। কারণ, তাতে আমদানির খরচ কমে। অশোধিত তেল যেখানে নেমেছে, তাতে দেশেও অবিলম্বে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমানো দরকার। মূল্যবৃদ্ধিকে আরও নামিয়ে আনার এটা বড় সুযোগ।’’ তাঁর দাবি ছিল, মূল্যবৃদ্ধিই লগ্নির পথে সবচেয়ে বড় বাধা। ফলে তাকে আরও নামাতে পারলে সুদও কমবে। শিল্পে লগ্নির ক্ষেত্রে আসবে গতি।
সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য বরাবরের অভিযোগ, অশোধিত তেলের দাম বাড়লে দেশের পেট্রল-ডিজ়েলে চট করে তার প্রতিফলন দেখা যায়। অথচ উল্টোটা হলে আমজনতাকে সুরাহা দেওয়ার তাগিদ চোখে পড়ে না। এই আবহে রাজ্যে বাড়ল তেলের দাম।