—ফাইল চিত্র।
পুজোর রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি। আগামিকাল, বুধবার ওই মামলার শুনানি হতে পারে। প্রয়োজনে সুপ্রিমকোর্টেও যাওয়ার কথা ভাবছেন তারা। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। আবেদন গ্রহণ হয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর।
রাজ্যের সমস্ত পুজো মণ্ডপে দর্শকদের ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। রায় দিতে গিয়ে আদালত জানিয়েছে, ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে ৫ মিটার এবং বড় মন্ডপের ক্ষেত্রে ১০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত ব্যারিকেড দিতে হবে। ‘নো এন্ট্রি’ ঘোষণা করতে হবে সেই ব্যারিকেড করা অংশ থেকে। মণ্ডপে কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। পুজোর প্রয়োজনে যাদের ঢুকতে হবে, মণ্ডপের বাইরে তাঁদের নামের তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে। তবে ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি মণ্ডপে ঢুকতে পারবে না। আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না, তা-ও দেখতে হবে উদ্যোক্তা এবং পুলিশকেই।
এই রায়ে বেশির ভাগ পুজো সংগঠনগুলি আশাহত হয়। একে বারে শেষ মুহূর্তে এই রায়ের কারণে নানা সমস্যার কথাও তুলে ধরেন উদ্যোক্তারা। সেই সব কারণ উল্লেখ করেই এ দিন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির তরফে হাইকোর্টে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হতে পারে। সোমবার রায় ঘোষণার পর, সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেন ফোরামের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: সকলকে মাস্ক পরতে বাধ্য করুন: মমতা
যদিও এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে চিকিৎসক মহল। ভিড় নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে পুজোর পর করোনার সংক্রমণ বাড়বে বলে তাঁদের আশঙ্কা। আদালতের রায় কতটা মানা হল, তা জানিয়ে লক্ষ্মীপুজোর পর আদালতে হলফনামা পেশ করতে হবে রাজ্যকে। পুনর্বিবেচনার আর্জিতে হাইকোর্ট সাড়া দেয় কি না, এখন সে দিকেই তাকিয়ে পুজো উদ্যোক্তা, দর্শক থেকে চিকিৎসক মহল।