বারাসতের আকাশে। রবিবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
বর্ষায় এমন বজ্রপাত সচরাচর দেখেনি কলকাতা!
রবিবার সন্ধ্যা থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতায়। সঙ্গে ঘন ঘন বাজও পড়েছে। যা কিনা একটু অস্বাভাবিকই বটে। বর্ষার চেনা বৃষ্টির বাইরে এমন বাজ কেন তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে জনমানসে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, এ হল দুর্বল বর্ষার চরিত্র। বর্ষা যদি দুর্বল হয় তাহলে বৃষ্টি হলেও তার চরিত্র কিছুটা বদলে যায়। ‘‘এ দিন উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে মেঘ বয়ে এসে যে ভাবে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে তাতে বর্ষার থেকে কালবৈশাখীর সঙ্গেই এর বেশি মিল ছিল’’ মন্তব্য হাওয়া অফিসের অধিকর্তার। তিনি জানান, এ দিন বাংলাদেশের দিক থেকে কয়েকটি বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ ভেসে এসেছিল। পরে মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানের উপরেও একাধিক মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়। সেগুলি হাওয়ার স্রোতে কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলির দিকে ভেসে এসেছে।
আবহবিদেরা জানান, বর্তমানে মৌসুমি অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গে রয়েছে। বর্ষার প্রাবল্য ওই জেলাগুলিতে বেশি। কিন্তু বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প-পূর্ণ হাওয়া ঢুকছে। তা গরম হয়ে বায়ুমন্ডলের উপরের স্তরে উঠে এমন মেঘ তৈরি করেছে।
বায়ুমন্ডলের উপরের স্তরে হাওয়ার অভিমুখও বর্ষার থেকে ভিন্ন ছিল। আবহবিদেরা জানান, মেঘের আকার যত বড় হয় ততই তার গর্ভে বজ্রের সঞ্চার হয়। এ দিন বড় বড় মেঘ হওয়াতেই এমন বাজের দাপট ছিল।