জয়ের পরে সত্যরূপ। নিজস্ব চিত্র
মেহিকোর সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি পিকো দে ওরিজাবা (৫৬৩৬ মিটার) জয় করেছিলেন আদতে বহরমপুরের বাসিন্দা সত্যরূপ সিদ্ধান্ত। বুধবার ভারতীয় সময় রাত ২টো নাগাদ ওই আগ্নেয়গিরির চূড়ায় ওঠেন সপ্তশৃঙ্গজয়ী এই যুবক। আগামী মাসে দক্ষিণ মেরুর সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি মাউন্ট সিডলিতে যাচ্ছেন সত্যরূপ। তা জয় করতে পারলে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে সপ্ত আগ্নেয়গিরি (সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি) এবং সপ্তশৃঙ্গ জয়ের বিশ্ব রেকর্ড করবেন তিনি।
তবে পিকো থেকে নামার সময়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন তিনি ও তার দু’জন সঙ্গী। বেঙ্গালুরুর দীপাঞ্জন দাস ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ মেসেজে জানতে পারেন, ফেরার পথে বিপদে পড়েছেন তাঁর পর্বতারোহী বন্ধু। কয়েক ঘণ্টা পরে যখন যোগাযোগ করতে পারেন, তখন গাইডকে টেনে টেনে নীচে নামানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন সত্যরূপ ও মাও নামে আর এক সঙ্গী। জয়ের পর বন্ধু সত্যরূপের পাঠানো ভিডিও দেখে গায়ে কাঁটা দিয়েছে গোটা বহরমপুরের।
ছাত্রের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত খাগড়া গুরুদাস তারাসুন্দরী ইনস্টিটিউশন ও মেরি ইমাক্যুলেট স্কুলও। ইতিমধ্যে খাগড়া জিটিআই বিদ্যালয়ের ১৭৫তম বর্ষপুর্তি উৎসবে আগামী ১৫ মার্চ তাদের প্রাক্তনীকে সংবর্ধনা দিচ্ছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সন্দীপ দাশগুপ্ত জানালেন। তিনি বলেন, ‘‘ভাবলেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে, আমাদের ছাত্র ষষ্ঠ আগ্নেয়গিরি জয়ী!’’ খুশি সত্যরূপের পুরনো পাড়া এবং বন্ধুরাও। বহরমপুরের মোহন সিনেমা হল লাগোয়া গলিতে একটি ভাড়াবাড়িতে ছেলেবেলা কেটেছে সত্যরূপের। কয়েকটা গলির পরেই মেরি ইমাক্যুলেট স্কুল। স্কুলের প্রাক্তনী শুভময় মজুমদার বলছেন, ‘‘এখনও নিয়মিত যোগাযোগ রাখে, জানেন।’’ বহরমপুরের আর এক বন্ধু শিবাজী সরকার জানালেন, প্রিয় বন্ধুর সাফল্যে তিনি অভিভূত, আগামী মাসে দক্ষিণ মেরুর মাউন্ট সিডলি জয় করলেই বহরমপুরে ‘সেলিব্রেশন’ হবে।