নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। —ফাইল চিত্র।
পরিকল্পনা ছিল— পুরনো মূর্তি সরিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীতে নতুন মূর্তি উন্মোচন করে তাতে মাল্যদান করা হবে। কিন্তু মূর্তি বিকৃতির অভিযোগ ওঠায় উন্মোচনের আগে তা সরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে জন্মজয়ন্তীতে বসল না নেতাজির নতুন মূর্তি! এ নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে মালদহের চাঁচলে। মূর্তিতে মাল্যদান করতে না পেরে ক্ষুব্ধ নেতাজিপ্রেমীরা। এই ঘটনায় জেলা পরিষদ এবং শাসকদলের বিরদ্ধে কাটমানি খেয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
চাঁচলের নেতাজি মোড়ে নেতাজির একটি মূর্তি ছিল। গত বছর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নেতাজির মূর্তিটি সেখান থেকে সরিয়ে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নতুন মূর্তি বসানো হবে। সেই মতো পুরনো মূর্তি সরিয়ে নির্ধারিত জায়গায় নতুন মূর্তি বসানোও হয়। কিন্তু এলাকাবাসীদের অনেকেরই অভিযোগ, নেতাজির মূর্তি বিকৃত করা হয়েছে। সেই চাপে পড়ে নতুন মূর্তিটি সরিয়ে ফেলা হয়। এর ফলে মূর্তিতে মাল্যদান ছাড়াই জন্মজয়ন্তী পালন করতে হল চাঁচলবাসীকে। এই ঘটনায় জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল সাত্তার বলেন, ‘‘সকালে এসে নেতাজির মূর্তিতে মালা দিতে পারেনি। চাঁচল প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই আজও নেতাজির মূর্তি বসানো গেল না। দুর্নীতির কারণে মূর্তি বিকৃত হয়েছে। আমরা চাই, আগের মূর্তিই আবার বসিয়ে দেওয়া হোক।’’ তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। দক্ষিণ মালদহে বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, ‘‘কাটমানির জন্য নেতাজিকেও ছাড়ছে না তৃণমূল। মোট অঙ্কের টাকা পকেটস্থ করতেই নেতাজির নিম্নমানের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে সেই বিকৃত করা হয়েছে।’’
এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।