Coronavirus

কেন্দ্রীয় সংস্থা সায় দিলে পিয়ারলেসে পরীক্ষা রুশ টিকার

১৭ ডিসেম্বর ওই রুশ টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে কাজ করার ছাড়পত্র পায় পিয়ারলেস হাসপাতাল।

Advertisement

শান্তনু ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনার রুশ টিকা ‘স্পুটনিক ভি’র তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ছাড়পত্র মিলেছে। পরীক্ষায় যোগ দিতে চেয়ে আবেদনও আসছে প্রচুর। এথিক্স কমিটির বৈঠকের পরে ওই টিকা নিয়ে গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে ছাড়পত্র পেয়েছে পিয়ারলেস হাসপাতাল। এ বার শুধু ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র অনুমোদন এলেই টিকা পরীক্ষা শুরু করবে বঙ্গের ওই হাসপাতাল। সেখানকার গবেষক-চিকিৎসক এবং এ রাজ্যে ভ্যাকসিন গবেষণা প্রক্রিয়ার সংযোগকারী সংস্থার ভূমিকায় থাকা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্তারা জানান, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই অনুমোদন এসে যাবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

Advertisement

কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চলছে। স্বেচ্ছাসেবকদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে ১৭ ডিসেম্বর ওই রুশ টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে কাজ করার ছাড়পত্র পায় পিয়ারলেস হাসপাতাল। রাজ্যে ভ্যাকসিন গবেষণার সংযোগকারী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক প্রধান স্নেহেন্দু কোনার বলেন, ‘‘রুশ টিকার ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিতে চেয়ে ইতিমধ্যেই ৪৬৮ জন আবেদন করেছেন। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যে ডিসিজিআই-এর অনুমোদনও এসে যাবে। সেটি এলেই শুরু হবে ট্রায়াল।’’ স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়ে অনেকেই যোগাযোগ করছেন বলে জানান পিয়ারলেসের ভ্যাকসিন গবেষণার প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বিশেষজ্ঞ শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘‘অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। তাই এখনই নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে না।’’

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওই রুশ টিকা দেওয়ার আগে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করে দেখা হবে, স্বেচ্ছাসেবক করোনায় আক্রান্ত কি না। অ্যান্টিবডি, লিভার, কিডনি, সুগার, রক্তচাপও পরীক্ষা করা হবে। সেগুলিতে ছাড়পত্র মিললে ১৮ থেকে ৯৯ বছর বয়সিরা স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার সুযোগ পাবেন। স্নেহেন্দুবাবু জানান, স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়ে যে-সব আবেদন এসেছে, সেই তালিকায় স্বাস্থ্যকর্মী, মেডিক্যাল পড়ুয়া, স্কুলশিক্ষক-সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ আছেন। কেউ কেউ পিয়ারলেস হাসপাতালে ফোন করে বৃদ্ধ বাবাকেও স্বেচ্ছাসেবক করা যায় কি না, খোঁজ নিচ্ছেন। কিন্তু অনুমোদন আসার আগে কিছুই হবে না।

Advertisement

স্পুটনিক ভি-র গবেষণার জন্য ভারতে ডক্টর রেড্ডির সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান আরডিআইএফ। ডিসিজিআইয়ের অনুমোদন দেওয়ার কথা রেড্ডির সংস্থাকেই। তার পরে স্নেহেন্দুবাবুদের মাধ্যমে সেটি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেবে তারা। স্বাস্থ্য সূত্রের খবর: এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, ১০০ জনের মধ্যে ৭৫ জন পাবেন আসল ভ্যাকসিন আর ২৫ জনকে দেওয়া হবে ‘প্লেসবো’ (স্যালাইন ওয়াটার)। কে কী পেলেন, প্রথমে তা জানা যাবে না। তিন-চার মাস পরে তথ্য বিশ্লেষণের সময় জানা যাবে, কোন স্বেচ্ছাসেবক কী পেয়েছেন। কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে স্থির হয়েছে, যাঁরা প্লেসবো পাবেন, তাঁদের পুনরায় আস‌ল ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু স্পুটনিক ভি-র ক্ষেত্রে তেমন কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। ‘‘প্রত্যেকেরই আসল ভ্যাকসিন পাওয়ার নৈতিক অধিকার আছে। আশা করছি, ট্রায়াল শুরুর অনুমোদন আসার পরে এই সমস্যাও কেটে যাবে,’’ বলেন শুভ্রজ্যোতিবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement