প্যালেস্টাইনের উপরে হামলা বন্ধের দাবি ও শান্তির পক্ষে এআইপিএসও-র ডাকে মিছিল। কলকাতায়। — নিজস্ব চিত্র।
প্যালেস্টাইনের সমর্থনে ফের পথে নামলেন কলকাতার বহু মানুষ। ইজ়রায়েলি হানা ও ‘গণহত্যা’ বন্ধের দাবিতে বুধবার শিযালদহ স্টেশন চত্বর থেকে রাজাবাজার পর্যন্ত মিছিল হল সারা ভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থার (এআইপিএসও) ডাকে। শান্তি আন্দোলনের কর্মীদের পাশাপাশি মিছিলে শামিল হয়েছিলেন ছাত্র, যুব, মহিলা, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, শ্রমিক-সহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ। যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে এবং প্যালেস্টাইনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে একই দিনে শহরের নানা জায়গায় মিছিল করেছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন, এসইউসি, এপিডিআর-সহ আরও কিছু সংগঠন। সব মিছিল থেকেই আওয়াজ তোলা হয়েছে ইজ়রায়েলের ভূমিকা এবং তাদের পিছনে আমেরিকার মদতের বিরুদ্ধে।
শিয়ালদহ থেকে এ দিন এআইপিএসও-র ডাকে মিছিলে ছিলেন সিপিএমের নেতা সুজন চক্রবর্তী, অমিয় পাত্র, রবীন দেব, জিয়াউল আলম, মালিনী ভট্টাচার্য, কনীনিকা ঘোষ, অঞ্জন বেরা, শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়, বাসুদেব বসু প্রমুখ। মিছিল শেষে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের সামনে সভা করেন তাঁরা। প্রতিবাদীদের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে বাধ্য করতে হবে ইজ়রায়েলের পাশ থেকে সরে দাঁড়াতে। তার জন্য বিপুল জনমত গড়ে তুলতে হবে। ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে বা প্যালেস্টাইনের সমর্থনে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার কেন একটি শব্দও খরচ করেনি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন রবীনেরা। ইজ়রায়েলি হানাদারি বন্ধের দাবিতে এ দিন ধর্মতলা থেকে কলেজ স্কোয়ারের মধ্যে মিছিল হয়েছে অন্য একাধিক সংগঠনের। কলেজ স্ট্রিটে জমায়েত করে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে শামিল হয়েছিল এপিডিআর, পশ্চিমবঙ্গ গণসংস্কৃতি পরিষদ এবং আরও নানা সংগঠন। তার মধ্যে ছিল সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের বিভিন্ন গণ-সংগঠনও। প্যালেস্টাইনে শিশু ও নারীঘাতী হামলা বন্ধের দাবি তুলেছে তারাও।