প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইছেন, রাহুল গাঁধী এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সরব হোন। —ফাইল চিত্র।
একের পর এক ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার হাল এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতা প্রকট হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইছেন, দলের সভাপতি রাহুল গাঁধী এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সরব হোন। তাতে দলের কর্মীরা চাঙ্গা হবেন, লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক বার্তাও দেওয়া যাবে বলে কংগ্রেস নেতৃত্বের মত।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এখন দিল্লিতে। এআইসিসি-র দফতরে বুধবার তিনি আলোচনায় বসেছিলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈয়ের সঙ্গে। বাংলায় গৌরবের সহকারী পর্যবেক্ষক, এআইসিসি-র সম্পাদক বি পি সিংহও ছিলেন। নাগেরবাজারে মঙ্গলবার বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু এবং অনেকের আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে গৌরবকে তথ্য দিয়েছেন সোমেনবাবু। তাঁর আর্জি, নানা ঘটনার তথ্য হাতে নিয়ে বাংলায় সাধারণ নাগরিকের দুর্দশা নিয়ে রাহুল মুখ খুলুন। পুজোর মধ্যে রাহুলের কলকাতা সফরের কর্মসূচি নিয়েও কথা হয়েছে সোমেন-গৌরবের।
এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, অষ্টমীতে কলকাতায় এসে কলেজ স্কোয়ারে পুজো দিতে যাবেন কংগ্রেস সভাপতি। যাবেন বেলুড় মঠেও। শুধু পুজো-প্রার্থনা সেরেই ফিরে না গিয়ে রাহুল যাতে সংবাদমাধ্যম বা কংগ্রেস পদাধিকারীদের সঙ্গে কথা বলেন, সেই আর্জি জানিয়েছেন সোমেনবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘কলেজ স্কোয়ার আর বেলুড় মঠ ছাড়া আরও একটা কর্মসূচি যাতে রাখা যায়, তার জন্য অনুরোধ করেছি।’’
সোমেনবাবু কাল, শুক্রবার কলকাতায় ফিরবেন। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের নতুন কমিটিকে নিয়ে তিনি বৈঠকে বসবেন ৯ অক্টোবর। হাঁটুর সেলাই কাটা হয়ে যাওয়ায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও বৈঠকে যোগ দিতে আগ্রহী। প্রদেশ কংগ্রেসের দুই নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, শুভঙ্কর সরকার এ দিনই মেডিক্যাল কলেজের সুপার ও প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করে অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন।