Kolkata

বাস অমিলে ভোগান্তি চলছেই, বাড়বে কি ভাড়া? সরকারি কমিটিতে জমা পড়ল হিসাব

বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে সামাল দিতে সরকারি-বেসরকারি বাস যে যথেষ্ট নয়, তা অবশ্য দু’পক্ষই মানছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২০ ১৫:৪৯
Share:

মঙ্গলবার বাসে ওঠার ভিড়। নিজস্ব চিত্র

ভোগান্তি চলছেই। মঙ্গলবারও বদলাল না বাস-যন্ত্রণার সেই চেনা ছবি। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে চরম নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা। কবে এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে? তার জবাব নেই কারও কাছেই।

Advertisement

বেসরকারি বাস-মিনিবাস মালিকেরা বলছেন, ক্ষতি নিয়ে কেউ গাড়ি চালাতে রাজি হচ্ছেন না। আর রাজ্য পরিবহণ দফতর বলছে, তাদের হাতে যত সরকারি বাস রয়েছে, তার সবই বৃহত্তর কলকাতায় চলছে। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে সামাল দিতে সরকারি-বেসরকারি বাস যে যথেষ্ট নয়, তা অবশ্য দু’পক্ষই মানছেন।

ভাড়া বৃদ্ধিই কি যাত্রী ভোগান্তি থেকে মুক্তির একমাত্র পথ? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সরকারি রেগুলেটারি কমিটির কাছে ইতিমধ্যেই হিসাব-নিকাশ পেশ করেছেন বাস-মিনিবাস সংগঠনগুলি। তাঁদের আশা, খরচের বহর দেখলে পরিবহণ দফতর বুঝবে, কেন ভাড়া বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে? যদিও মালিক পক্ষের একাংশ রেগুলেটারি কমিটির সিদ্ধান্ত না জেনেই, আগেভাগে যেমন খুশি ভাড়া নিয়ে চলেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: চিন কি আমাদের ভূমি দখল করেছে? শাহের সভার আগে টুইট অভিষেকের

রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, ১ হাজার থেকে ১২০০ সরকারি গাড়ি চালানো হচ্ছে বৃহত্তর কলকাতায়। বেসরকারি বাস-মিনিবাস চলছে প্রায় দেড় হাজার। সব মিলিয়ে তিন হাজারের বেশি বাস চলছে না। কিন্তু লকডাউনের আগে শহরেই শুধু মাত্র সরকারি-বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস চলত আট হাজারের কাছাকাছি। আনলক-১ এর রেস্তরাঁ, শপিংমল, অফিস, খুলে গিয়েছে। ফলে আগের মতোই রাস্তায় ভিড়। মেট্রো-লোকাল ট্রেন চলছে না। অটো-ট্যাক্সিতে বেশি ভাড়ার কারণে অনেকেই তা এড়িয়ে চলেছেন। এখন শুধু ভরসা বাস। তা-ও অমিল। কী ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে বিকল্প পথের খোঁজে রয়েছেন পরিবহণ কর্তারাও।

বাসে ওঠার জন্য লম্বা লাইন। নিজস্ব চিত্র

সোমবার পরিবহণ দফতরের এনফোর্সমেন্ট উইং পথে নেমেছিল। কিন্তু ভাড়ায় লাগাম টানা যায়নি বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এ দিনও ঠাকুরপুকুর থেকে ডানলপ। সল্টলেক থেকে হাওড়া, গড়িয়া এবং কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন বাস-মিনিবাস রুটে যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, কনডাক্টররা ১০, ১৫ এবং ২০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: সিএএ রাজনীতি মমতাকেই শরণার্থী করে দেবে, তোপ অমিতের

যাঁরা বাস-মিনিবাস নামাচ্ছেন, তাঁদের যুক্তি, সকাল এবং বিকেলে অফিসটাইমে ভিড় হচ্ছে। কিন্তু বেলা ১২টার পর থেকে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এই ক’দিন ক্ষতি নিয়েই বাস চলছে। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের তরফে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাস-মিনিবাস চালাতে গিয়ে প্রতি দিন এবং বছরে কী কী খরচা, সে বিষয়ে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে রেগুলেটারি কমিটিতে। এখন ওদের উপরে সব কিছু নির্ভর করছে। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় এ দিন বেশি বাস নেমেছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement