রাস্তায় নেমে দলের পক্ষ থেকে বন্ধের বিরোধিতা করা হয়নি বলেই কি সুভাষবাবুকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়?—ফাইল চিত্র
এলাকায় বন্ধ হাসপাতাল চালুর দাবিতে তিন দিন আগে দু’টি অরাজনৈতিক সংগঠনের ডাকে সর্বাত্মক বন্ধ হয়েছিল গোবরডাঙায়। তার পরেই গোবরডাঙার দলীয় পুরপ্রধান সুভাষ দত্তকে পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল তৃণমূল। শনিবার নিজে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে চিঠি পাঠালেন সুভাষবাবু।
সুভাষবাবুর ওই চিঠি নিয়ে এ দিন স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়। অনেকেই মনে করছেন, বন্ধ সফল হওয়ার পিছনে তাঁর কোনও হাত না-থাকলেও সুভাষবাবুকে ওই চিঠি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, ‘‘দলের পক্ষ থেকে ওঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উনি সেই নির্দেশকে মান্যতা দিতেই চিঠি পাঠিয়েছেন। তা গ্রহণ করা হয়েছে।’’ সুভাষবাবু নিজে অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত কারণে পুরপ্রধানের পদ থেকে অব্যাহতির অনুমতি চেয়ে জ্যোতিপ্রিয়বাবুর কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।’’ কয়েক সপ্তাহ আগে ব্যারাকপুরে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গোবরডাঙা হাসপাতালটি চালুর আর্জি জানিয়েছিলেন সুভাষবাবু। মুখ্যমন্ত্রী তখনই তাঁকে জানিয়ে দেন, হাসপাতাল হবে না। হতাশ হয়ে পড়েন সুভাষবাবু। গোবরডাঙার বহু মানুষও নিরাশ হন। এর পরেই বুধবার এলাকায় ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকে ‘গোবরডাঙা পুর উন্নয়ন পরিষদ’ এবং ‘হাসপাতাল বাঁচাও কমিটি’। সুভাষবাবু নিজে অবশ্য সে দিন পুরসভায় যান।
আরও পড়ুন: পুরসভায় দায়িত্ব খোয়ালেন ইকবাল
এলাকার কয়েক জন তৃণমূল নেতার প্রশ্ন, সে দিন রাস্তায় নেমে দলের পক্ষ থেকে বন্ধের বিরোধিতা করা হয়নি বলেই কি সুভাষবাবুকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়? তাঁরা মনে করছেন, সুভাষবাবু যাতে সম্মান নিয়ে সরে য়েতে পারেন, সেই কারণে তাঁকে সময় দেওয়া হয়েছিল। এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ সর্বাত্মক বন্ধ পালন করেছেন। সেখানে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করা মানে এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে যাওয়া। যা এলাকাবাসী ভাল চোখে দেখবেন না। সেই কারণে রাস্তায় নেমে বন্ধের বিরোধিতা করা হয়নি।’’