ফাইল চিত্র।
বেশ কিছু দিন আগে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, যাদবপুর আর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েই শুধু এত গোলমাল কেন? তার কী জবাব তিনি পেয়েছিলেন, আদৌ কোনও জবাব পেয়েছিলেন কি না, জানা যায়নি। তবে চলতি পর্বে যাদবপুরে চার-পাঁচ দফা ঘেরাওয়ের পরে শনিবার মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঘেরাওয়ের রাস্তা বর্জন করতে পড়ুয়াদের অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু এ দিনেও বেলা ১২টায় যাদবপুরে আলোচনার শুরু থেকেই ছাত্র সংসদ দাবি জানাতে থাকায়, বৈঠক বেশি রাতের দিকে গড়িয়ে যায়। আজ, রবিবার কর্মসমিতির বৈঠক হবে অনলাইনে।
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর আবেদন, ঘেরাওয়ের পথ বর্জন করুন। এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে যে, উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সব কিছু মেটাতে হবে। পড়ুয়াদের দাবিদাওয়ার সুরাহা করতেই উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, অন্যান্য আধিকারিক এবং শিক্ষকেরা এ দিন ক্যাম্পাসে বৈঠকে বসেন। পড়ুয়ারা সেখানে উপস্থিত হয়ে দাবি জানাতে থাকায় ৮-৯ ঘণ্টা কেটে যায়।
উপাচার্য এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটে থেকে অন্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে তিন ছাত্র সংসদ ৬৪ দফা দাবি জানাতে থাকায় প্রায় রাত ১০টা গড়িয়ে যায়। তার পরে শুরু হয় আলোচনা। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ উপাচার্য এবং অন্যেরা বাড়ি যান। দীর্ঘ প্রায় ১৪ ঘণ্টার বৈঠকে সুরঞ্জনবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে উপাচার্য জানিয়ে দিয়েছিলেন, শনিবারের বৈঠকে তিনি অবশ্যই যোগ দেবেন। সুরঞ্জনবাবু এ দিন
বেলা ১২টায় অন্যদের সঙ্গে যোগ দেন। ছাত্র সংসদের এ বারের আন্দোলনে এর আগে জুমস কমিটির বৈঠকে ঘেরাও হন সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। ঘরের মধ্যে ঘেরাওয়ের পরে খোলা আকাশের নীচে গভীর রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁদের। বাড়ি ফেরার পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। উপাচার্য এবং দুই সহ-উপাচার্য সে-দিন পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন।
শিক্ষা সূত্রের খবর ভর্তি, পরীক্ষা এবং ফলপ্রকাশের অনলাইন প্রক্রিয়া (জুমস) ঢেলে সাজানোর জন্য এ দিন তিন ছাত্র সংসদের সদস্যদের উপস্থিতিতে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
এই প্রক্রিয়ার ঠিক কোথায় কোথায় গলদ রয়েছে, চিহ্নিত করা হয় সেগুলিকে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সংসদ ফেটসু-র অভিযোগ, অনেক ছাত্রছাত্রী চাকরি পেয়েও জুমসের নিষ্ক্রিয়তায় কাজে যোগ দিতে পারেননি। স্কলারশিপ আটকে গিয়েছে অনেকের, সমস্যায় পড়তে হচ্ছে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও।