—ফাইল চিত্র।
নতুন বেতনক্রম ২০১৬ সাল থেকে চালু করার দাবিতে অনড় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই দাবিতে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ধর্নায় বসার কথা জানিয়েছে ১৫টি সংগঠন। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে ওই বেতনক্রম চালু করা যাবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘যতই অবস্থান করুক, ২০১৬ থেকে বেতনক্রম চালু করা সম্ভব নয়।’’ শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘বাম আমলে যে দু’বছর ডিএ বন্ধ ছিল । তখন কী হয়েছিল?’’
তবে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে নারাজ আন্দোলনকারী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। আন্দোলনকারী ১৫টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠনের অন্যতম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা)-র সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, ইউজিসির নিয়ম অনুসারে বেতনক্রম ২০১৬ থেকেই দিতে হবে। এ আমাদের ন্যায্য পাওনা। তিনি বলেন, ‘‘ন্যায্য পাওনা। থেকে বঞ্চিত করলে যত দূর যাওয়া সম্ভব যাব।’’
রাজ্য সরকার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ডিসেম্বর মাসে যে বেতন কাঠামো ঘোষণা করেছিল তা নিয়ে গোড়া থেকেই অখুশি ছিল শিক্ষক সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবি ছিল, বেতনক্রম চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে নয়, ২০১৬ থেকে দিতে হবে। এমফিল, পিএইচডি থাকলে শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে। যে সব কলেজে স্নাতকোত্তর বিষয় পড়ানো হয় সেই কলেজের অধ্যক্ষের তুলনায় যে সব কলেজে পড়ানো হয় না সেখানের অধ্যক্ষের ভাতা কম করা যাবে না। সব কলেজের অধ্যক্ষকেই প্রফেসর পদের সমতুল ধরতে হবে।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক পরিসর কমছে শিবপুরে, উঠছে অভিযোগ
৩ ফেব্রুয়ারি আরেকটি সরকারি নির্দেশে এমফিল, পিএইচডি থাকলে শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। যখনই কোনও বেতনক্রম সংশোধন করা হয় তখন সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষকরা পে-ম্যাট্রিক্সে একই জায়গায় পড়ে যেতে পারেন। তখন সিনিয়রদের একটি ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়। এটাই চালু পদ্ধতি। রাজ্য সরকারের প্রথম নির্দেশিকায় তার ছিল না। নতুন নির্দেশে তা উল্লেখ করা হয়েছে। নয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, সব কলেজের অধ্যক্ষদের বেতন এক হবে এবং প্রত্যেককেই প্রফেসর পদের সমতুল ধরা হবে। কিন্তু বেতনক্রম ২০১৬ সাল থেকে চালু করতে নারাজ রাজ্য।