মধ্য শিক্ষা পর্ষদকে রীতিমতো ‘ধমক’ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
ইসলামপুরকে ‘ঈশ্বরপুর’ বানানোর জের। রাজ্যের আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ঘনিষ্ঠ স্কুলগুলি চলে এল প্রশাসনের অনুবীক্ষণ যন্ত্রের তলায়।
সূত্রের খবর, মধ্য শিক্ষা পর্ষদকে এ নিয়ে রীতিমতো ‘ধমক’ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন, কী ভাবে তারা অনুমোদন পেল। এ বিষয়ে পার্থবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওই স্কুলটির দিকে আমাদের নজর আছে। ওদের কাগজপত্রেও বেশ কিছু গরমিল পেয়েছি। সময় মতো ব্যবস্থা নেব।’’ শুধু তা-ই নয়, পার্থবাবু জানিয়েছেন, অনুমোদন সংক্রান্ত আইন ঢেলে সাজানোর নির্দেশও তিনি দিয়েছেন। ভবিষ্যতে স্কুলগুলি যাতে কোনওরকম কারচুপি করতে না পারে।
সূত্রের খবর, মধ্য শিক্ষা পর্ষদ মন্ত্রীকে জানিয়েছে, স্কুলের অনুমোদনের বিষয়টি নির্ভর করে স্কুল শিক্ষা দফতরের ‘নো-অবজেকশন’এর উপরে। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, ওই স্কুলটির রেজিস্ট্রেশন বাতিলের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
অন্য দিকে, ইসলামপুরের স্থানীয় মানুষেরা জানিয়েছেন, ‘সরস্বতী শিশু মন্দির’ ও ‘সরস্বতী বিদ্যামন্দির’এর বেশ কিছু বোর্ড থেকে রাতারাতি ‘ঈশ্বরপুর’ সরিয়ে দিয়ে ‘ইসলামপুর’ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও স্কুলের অধ্যক্ষ ক্ষুদিরাম রায়ের দাবি, নতুন বোর্ডে আগেই তাঁরা ‘ইসলামপুর’ লিখেছিলেন। পুরনো কিছু বোর্ডে ‘ঈশ্বরপুর’ থেকে গিয়েছে। তাঁর দাবি, স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। সূত্রের খবর, স্কুলের বোর্ডে ‘ঈশ্বরপুর’ থাকলেও নথিপত্রে স্কুলটি ইসলামপুরই ব্যবহার করে।
তবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্ব ভারতের সংগঠন সংগঠক শচীন্দ্রনাথ সিংহের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কোনও ভাবেই ঈশ্বরপুর থেকে আমরা সরব না। আর স্কুলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার অর্থ, মানুষকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।’’ এ দিকে, বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে স্কুলের অনুমোদন সংক্রান্ত একটি মামলায় স্বস্তি পেয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দক্ষিণ দিনাজপুরে তাদের ‘একল’ বিদ্যালয়গুলি নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, ওই স্কুলগুলিকে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে না।