—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার প্রায় তিন বছর পরেও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বহু শিক্ষকপদ ফাঁকা। অবিলম্বে সেই সব পদ পূরণের জন্য মঙ্গলবার উপাচার্যদের নির্দেশ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ দিন বিকাশ ভবনে উচ্চশিক্ষা সংসদের বৈঠকে তিনি উপাচার্যদের জানান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকপদ খালি। সেগুলো অবিলম্বে পূরণ করা হোক।
২০১৭-র জানুয়ারিতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের শিক্ষা সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্য পদ ছ’মাসের মধ্যে পূরণ করা হবে। কিন্তু বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু শিক্ষকপদ এখনও ফাঁকা। তার মধ্যে বেশি ফাঁকা অধ্যাপক-পদ। সিবিসিএস বা চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেমে পঠনপাঠন শুরু হওয়ায় সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। ‘‘দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৫ শতাংশের মতো শিক্ষকপদ ফাঁকা। রাজ্যে ফাঁকা প্রায় ৬১%। দ্রুত পদ পূরণ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠনে সুবিধা হবে,’’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ দিন ঠিক সময়ে পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ করার উপরে গুরুত্ব দেন পার্থবাবু। রিভিউয়ের ফলও যাতে তাড়াতাড়ি বেরোয়, তার উপরে জোর দেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিজয়াদশমী উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারকে নিয়ে একটি প্রীতি সম্মেলন করা হবে। কলেজে ছাত্রভোট কবে হবে, জানতে চাওয়া হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে তো উৎসব হোক। তার পরে ভোট।’’
সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব আপাতত সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় সামলাবেন বলে এ দিন জানান শিক্ষামন্ত্রী। বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমাদেবীর এটা অতিরিক্ত দায়িত্ব। ১৪ সেপ্টেম্বর সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বতন উপাচার্য পলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকাল শেষ হয়। তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। উচ্চশিক্ষা দফতরের খবর, পলাদেবীর কাজকর্মে আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। উচ্চশিক্ষা দফতরকে তিনি বলেছিলেন, পলাদেবীকে শো-কজ করা হোক। তার পরে ঠিক হয়, আপাতত উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির কোনও সদস্যকে। তার মধ্যে সার্চ কমিটি গড়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে। সোমাদেবী সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির সদস্যা।