প্রাথমিক শিক্ষকরা দূরে কেন, ক্ষোভের আঁচ পেলেন পার্থ

বিরোধীরা নয়, নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে বসে দলের শিক্ষক নেতাদের এই প্রশ্নের মুখে পড়লেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ নিয়ে সরাসরি কোনও জবাব না দিয়ে শিক্ষকদের পেশাগত দাবিদাওয়া বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

রবিশঙ্কর দত্ত 

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৯ ০৩:৪৫
Share:

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

মহার্ঘ্যভাতা এবং বেতন কমিশন আটকে রেখে ক্লাব আর পুজো কমিটিকে কেন লক্ষ লক্ষ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার?

Advertisement

বিরোধীরা নয়, নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে বসে দলের শিক্ষক নেতাদের এই প্রশ্নের মুখে পড়লেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ নিয়ে সরাসরি কোনও জবাব না দিয়ে শিক্ষকদের পেশাগত দাবিদাওয়া বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে সরকারি প্রকল্পের প্রচারে তাঁদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। পোস্টাল ব্যালটের বড় অংশই এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়েছে। দু’একটি জায়গা ছাড়া সর্বত্রই সরকারি কর্মচারীদের এই ভোটের হাল দেখে উদ্বিগ্ন শাসকদলের নেতৃত্ব। লোকসভা ভোটের ফল বিশ্লেষণে দলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে সেই আঁচ টের পেলেন তাঁরা।

নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে প্রচারে নেমে যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, পার্থবাবুর সঙ্গে বৈঠকে তা খোলাখুলি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। দলীয় সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের একাধিক জেলা নেতৃত্বই মন্ত্রীকে সরকারি বঞ্চানার কথা জানিয়েছেন। বৈঠকে তাঁরা প্রশ্ন করেন, শিক্ষকদের প্রাপ্য না দিয়ে ক্লাব ও পুজো কমিটিকে অনুদান, সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভাতা কী ভাবে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন করেন তাঁরা। সংগঠনের তরফে এ নিয়ে সরকারের পক্ষে বলার মতো কিছু ছিল না তাঁদের। শিক্ষকদের বদলি নিয়েও সংগঠনের নেতারা অসন্তোষ জানান ওই বৈঠকে। তাঁরা দাবি করেন, বদলির ক্ষেত্রে সংগঠনের কোনও গুরুত্বই ছিল না। ফলে সে ক্ষেত্রে শিক্ষকদের স্বার্থরক্ষা করা যায়নি।

Advertisement

বৈঠকে একাধিক প্রতিনিধি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারে শিক্ষকদের কাছে গেলে মহার্ঘ্য ভাতা, বেতন কমিশন ও নির্দিষ্ট বেতন স্কেল নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকেই। সংগঠনের রাজ্য নেতাদের অনেকেই মহাসচিবকে জানিয়েছেন, শুধু নির্বাচনের সময়ই নয়, তার আগে কয়েকমাস ধরে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে নেমে এই অসন্তোষ বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু দলের কোনও স্তরেই তা জানানোর সুযোগ হয়নি। শিক্ষক নেতাদের ক্ষোভের মুখে পার্থবাবু অবশ্য জবাব দিতে পারেননি।

একাধিক জেলার ক্ষোভোর মুখে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি অশোক রুদ্র দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চান। পরে অবশ্য শিক্ষকদের সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার আশ্বাসে পরিস্থিতি সামাল দেন পার্থবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement