ফাইল চিত্র।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন, সেই সময়ে যাঁরা তাঁকে ‘সাহায্য’ করেছিলেন, তাঁদের অনেককেই পরে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই তালিকায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকারের নামও ওঠে। অভিযোগ, তাঁকে নিয়ম ভেঙে ওই পদে বসানো হয়েছিল। তা নিয়ে তদন্তের দাবিও উঠেছে নতুন করে। দুর্লভ এই নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে বলা হয়, সব নিয়মমাফিকই হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর বিজ্ঞাপন দিয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে লোক চাওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়: সিনিয়র লেকচারার, রিডার বা অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর পদে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা দরকার। সে ক্ষেত্রে গ্রেড পে (এজিপি) ৭ হাজারের উপরে থাকা দরকার। অথবা অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসাবে ৮ বছর কাজের অভিজ্ঞতা যেখানে গ্রেড পে ৮ হাজার বা তার বেশি থাকতে হবে। অথবা ১৫ বছর ডেপুটি রেজিস্ট্রার বা সমতুল পদে কাজের অভিজ্ঞতা দরকার।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকদের অভিযোগ, এর কোনওটাই দুর্লভের ছিল না। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি সমর বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘‘দুর্লভ সরকার ওই পদে বসার পিছনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অবদান রয়েছে। যোগ্যতা না থাকলেও পার্থর গবেষণাপত্র তৈরিতে সাহায্য করায় ‘পুরস্কার’ হিসেবে ওই ব্যাক্তিকে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে বসানো হয়েছে। তদন্ত হলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’
সূত্রের দাবি, দুর্লভ তাঁর বায়োডেটায় জানিয়েছেন, তিনি তখন ডিএসএমএস বিজ়নেস স্কুলে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ছিলেন। সেখানে ৮ বছর ৮ মাস কাজের অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। তিনি ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ৪ বছর ১০ মাস উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগে লেকচারার ছিলেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগ সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, তিনি অস্থায়ী পদে চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করতেন, যা ওই যোগ্যতার মধ্যে ধরা যায় না। কারণ তিনি প্রয়োজনীয় গ্রেড পে পেতেন না।
যদিও এ সব নিয়ে কিছু বলতে চাননি দুর্লভ। তিনি বলেন, ‘‘আমি এ সব নিয়ে কিছু বলতে চাই না।’’ তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সব ঠিক নিয়মমাফিক হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মমাফিক চলে। তাদের সিলেকশন কমিটি, স্ক্রিনিং কমিটি থাকে। কর্মসমিতি রয়েছে। সে সবে পাশ করেই সব করা হয়েছে।