গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা, সেই অর্পিতাই বাকি ফেলে রেখেছেন আবাসনের মেনটেন্যান্স চার্জ! এমনকি, পুজোর চাঁদা দেবেন বলেও দেননি। বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন হাইটসের ফ্ল্যাটে যখন ব্যাঙ্ককর্মীদের নিয়ে মেশিনে টাকা গুনতে ব্যস্ত ইডি, তখন ভিড় করে থাকা আবাসনের হতবাক বাসিন্দাদের মুখেই শোনা গেল এমন ‘তথ্য’।
টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা, সোনাদানা। এ বার ইডির তদন্তকারীদের নজর তাঁর বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন হাইটসের ফ্ল্যাটের দিকে। সূত্রের খবর, সেখানেও অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাটের একটিতে উদ্ধার হয়েছে টাকার পাহাড়। যা এখন গোনা চলছে। যে আবাসনে ঘটছে এই ঘটনা, সেখানে স্বভাবতই ভিড় জমিয়েছেন মানুষ। আবাসনের বাসিন্দারা যেমন রয়েছেন, এসে জড়ো হয়েছেন পাড়ার ছেলেরাও।
আবাসন কমিটির দেওয়া নোটিসে দেখা যাচ্ছে— জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ২এ নম্বরের ফ্ল্যাটের মেনটেন্যান্স বাবদ ১১,৮১৯ টাকা বাকি রয়েছে অর্পিতার। জানা গিয়েছে, ওই আবাসনে দুটি ফ্ল্যাট অর্পিতার। তার মধ্যে ২এ ফ্ল্যাটটিতে একটি অতিথিশালা করার পরিকল্পনা ছিল। সেই ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছে ইডি। অন্য ফ্ল্যাটটির নম্বর ৮এ। সেখানেই চলছে টাকা গোনার প্রক্রিয়া। আবাসন কমিটির সভাপতি কল্লোল সিংহ রায়ের দাবি, দুটি ফ্ল্যাটের মেনটেন্যান্স চার্জ মিলিয়ে প্রায় ৬০ হাজার টাকা বকেয়া আছে অর্পিতার।
ওই আবাসনে দুর্গাপুজোর চাঁদা দেবেন বলেও শেষ পর্যন্ত দেননি অর্পিতা। এমনই দাবি আবাসন কমিটির। কল্লোল বলেন, ‘‘আমরা দুর্গাপুজোর চাঁদার জন্য গিয়েছিলাম। উনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেবেন। কিন্তু কোনও কারণে হয়তো দিতে পারেননি। আমরা হাজার পাঁচেক চেয়েছিলাম, উনি দু’হাজার দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’’
আবাসন কমিটির সভাপতির দাবি, অর্পিতা ২এ ফ্ল্যাটটিকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আবাসিকদের বাধায় তিনি তা করতে পারেননি।