প্রতীকী ছবি।
হেমন্তের শুকনো আবহাওয়া হাজির। তাপমাত্রা নামতে থাকায় ডেঙ্গির বিপদ কাটার আশাও করছিলেন অনেকে। আবহাওয়ার মতিগতিতে কিন্তু ফের অশনি সঙ্কেত দেখছেন আবহবিদেরা। তাঁরা বলছেন, হেমন্তের আবহাওয়ার তাল কেটে দিতে পারে সাগর থেকে ঢুকে পড়া উটকো জোলো হাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর, জোলো হাওয়ার প্রভাবে চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে।
মহানগরে ডেঙ্গির দাপট কার্যত মহামারির আকার নিয়েছে। এই অবস্থায় ফের হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাসে বিপদ দেখছেন অনেক চিকিৎসক। তাঁরা বলছেন, হাল্কা বৃষ্টিকে তেমন আমল দেন না অনেকে। কিন্তু তার ফলে ছাদে ফুলের টব বা ফাঁকা পাত্রে জল জমে। তাতেই ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশা বংশ বিস্তার করে। ভ্যাপসা আবহাওয়ায় সক্রিয় হয় ভাইরাসও।
বর্ষা বিদায় নিয়েছে প্রায় এক মাস আগে। কিন্তু তার পর থেকে বৃষ্টি কিন্তু পুরোপুরি পিছু ছাড়েনি। কখনও নিম্নচাপ, কখনও বা অক্ষরেখার ছদ্মবেশে বারবার গাঙ্গেয় বঙ্গ এবং তরাই-ডুয়ার্সে হানা দিয়েছে সে। ফলে বিগ়ড়ে যাচ্ছে হেমন্তের ছন্দ। ফের বৃষ্টির পূর্বাভাসে হেমন্তের ছন্দপতনের আশঙ্কা করছেন অনেকে।
কিছু আবহবিজ্ঞানী বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু বদলের ধাক্কায় ঋতুচক্র থেকে হেমন্ত যেন উধাও হয়ে গিয়েছিল। এ বছর দিন কতক হিম-হিম ভাব মিললেও তা স্থায়ী হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। তাঁদের মতে, শীত আসার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ নেই। বর্ষা বিদায়ের পরে ধীরে ধীরে রাতের তাপমাত্রা কমতে থাকে। ধাপে ধাপে শীত থিতু হয় বঙ্গে। এ বার নভেম্বরের গোড়ায় রাতের তাপমাত্রা একটু নামলেও সেই পতনে ইতিমধ্যেই রাশ পড়েছে। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আসানসোল, বাঁকুড়া, শ্রীনিকেতন, পুরুলিয়ার মতো এলাকায় অবশ্য রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কম রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, সাগরের জোলো বাতাসের হানায় এ সপ্তাহে কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। আগামী ক’দিন মহানগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১-২২ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে।