Durga Puja 2022

ষষ্ঠী থেকে দশমী অনলাইনেই ইলিশ পাতুরি থেকে কচি পাঁঠার মাংস! আয়োজন পঞ্চায়েত দফতর

ভোজনরসিক বাঙালিকে হেঁশেলের ঝক্কি ছাড়াই ‘চর্ব্য-চূষ্য-লেহ্য-পেয়’ ভূরিভোজের আয়োজন করছে পঞ্চায়েত দফতর। পুজোর পাঁচ দিন ষষ্ঠী থেকে দশমী অনলাইনে অর্ডার করলেই মিলবে হরকে রকমের সুস্বাদু খাবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:০২
Share:

পুজোর পাঁচ দিন নানা স্বাদের খাবারের আয়োজন করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিএডিসি)।

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসব দরজায় কড়া নাড়ছে। সেই উৎসবের মরশুমে সেজেগুজে ঠাকুর দেখাই এখন বাঙালির কাছে প্রথম পছন্দের বিষয়। তাই ভোজনরসিক বাঙালিকে হেঁশেলের ঝক্কি ছাড়াই ‘চর্ব্য-চূষ্য-লেহ্য-পেয়’-র স্বাদ দিতে ভূরিভোজের আয়োজন করছে পঞ্চায়েত দফতর। পুজোর পাঁচ দিন ষষ্ঠী থেকে দশমী অনলাইনে অর্ডার করলেই মিলবে হরেক রকমের সুস্বাদু খাবার। ওই পাঁচ দিন নানা স্বাদের খাবারের আয়োজন করেছে পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে থাকা ওয়েস্ট বেঙ্গল কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিএডিসি)। তাঁদের সংস্থা ‘মৃত্তিকা’ এই আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে। ষষ্ঠী থেকে দশমী তাদের দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে খাবারের অর্ডার দিলেই নির্দিষ্ট দামের বিনিময়ে মিলবে সুস্বাদু খাবার। দুপুরের খাবারের ক্ষেত্রে তারা এই পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত কলকাতা পুরসভা এলাকার সঙ্গে বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম ও বরাহনগর পুরসভায় এই পরিষেবা দেবে সিএডিসি।

Advertisement

ষষ্ঠীর দিন খাদ্যতালিকায় রাখা হয়েছে স্বর্ণচূড়া চালের ভাত, সোনামুখ ডাল, চিংড়ি দিয়ে আলু-কপির ডালনা, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, বনমুরগির ঝোল, চাটনি ও মিষ্টি।

সপ্তমীর দিনে খাদ্যতালিকায় থাকছে, স্বর্ণচূড়া চালের ভাত, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, ফিশ ওরলি, চিতল কালিয়া, ইলিশ মাছের পাতুরি, চাটনি ও মিষ্টি।‌

Advertisement

অষ্টমীর দিন থাকছে নিরামিষ। খিচুড়ি, লাবড়া তরকারি, বেগুনি, বাসন্তী পোলাও, ছানা দিয়ে পটলের দোলমা, ছানার কোপ্তা, চাটনি ও মিষ্টি।

নবমীর দিনে থাকছে বাসমতী চালের ভাত, গাওয়া ঘি, শুক্তো, ভেটকি মাছের পাতুরি, কচি পাঁঠার ঝোল, চাটনি ও মিষ্টি।

বিজয়া দশমীর দিনে খাদ্যতালিকায় রাখা হয়েছে সাদা পোলাও, নবরত্ন কোরমা ও ঝুরঝুরে আলুভাজা। এ ছাড়াও বিজয়ার দিনের মিষ্টিমুখ করাতে খাদ্যতালিকায় এক ঝাঁক মিষ্টির সমাহার রাখা হয়েছে। রানাঘাটের পান্তুয়া, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কালনার রসগোল্লা, নদীয়ার নিকুতি, পশ্চিম মেদিনীপুরের বালুশাই ও পায়েস।

আগের দিন রাত আটটার মধ্যে অর্ডার হোয়াটসঅ্যাপ মারফত জানিয়ে দিতে হবে। সিএডিসি কর্তা সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘‘বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণে আমরা বিভিন্ন সময় এই ধরনের আয়োজন করে থাকি। পুজোর সময় বাঙালির ঘরনিরা যাতে রান্নাঘর থেকে একটু রেহাই পান। সঙ্গে তাঁদের পরিবার যেন সুস্বাদু খাবার থেকে বঞ্চিত না হন সে কথা মাথায় রেখেই আমাদের এই আয়োজন করা হয়েছে।’’ এ ছাড়াও সিএডিসির তরফে কলকাতা ও বিধাননগরের বিভিন্ন পুজোয় তাঁদের উপস্থিতি রাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উত্তর কলকাতার জগৎ মুখার্জি পার্ক, কুমোরটুলি সার্বজনীন, টালা বারোয়ারি, কুমোরটুলি পার্ক, বাগুইহাটি জোড়া মন্দির, সল্টলেকের সিএ ও সিআই ব্লকে তাদের খাবারের স্টল থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement