গ্রাফিক চিত্র।
‘ষড়যন্ত্রকারী’ কে? মাদক মামলায় এখনও পর্যন্ত সেই ‘রহস্য’ খোলসা হয়নি। আদৌ ‘ষড়যন্ত্র’ কেউ করেছে কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়। কিন্তু গোয়েন্দারা যে ভাবে আদা জল খেয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়েছেন, তাতে মাদক মামলার নেপথ্য বড় কোনও ‘রহস্যের গন্ধ’ পাওয়া যাচ্ছে।
মাদক মামলায় ধৃত বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামী এবং বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। গোয়েন্দাদের পামেলা জানিয়েছেন, তিনি ‘ষড়যন্ত্র’-র শিকার। অন্য দিকে, রাকেশও বলছেন, তাঁর সঙ্গেও নাকি ‘ষড়যন্ত্র’ হয়েছে। যদিও এখনও স্পষ্ট নয় মাদক মামলার মূল চক্রী কে?
লালবাজার সূত্রে খবর, মাদক-কাণ্ডে দু’ডজন ব্যক্তিকে জেরার তালিকা তৈরি করেছে গোয়েন্দারা। তার মধ্যে ১২ জনকে ইতিমধ্যেই এক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩ রাজ্যে জোর তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলার বহু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিউ আলিপুর থেকে গ্রেফতার হন পামেলা গোস্বামী। আদালতে তিনি বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নাম করে রাকেশ সিংহের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন।
এর পর, তদন্তভার হাতে নিয়েই রাকেশ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ জিতেন্দ্রকুমার সিংহকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। পুলিশের হাতে আসা, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ এবং কিছু ভিডিয়ো খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। মাদক মামলায় যা অত্যন্ত ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে করছে লালবাজার।
১০ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের কোকেন এক সঙ্গে কলকাতা থেকে এর আগে কবে উদ্ধার হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না গোয়েন্দা বিভাগ। কলকাতা পুলিশের এক অফিসার বলেন, “২০ গ্রাম কোকেন উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু একজন ৯০ গ্রাম কোকেন গাড়ি করে যাচ্ছে, তেমন ঘটনা মনে পড়ছে না।”