ফাইল চিত্র।
প্রথমত, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, বিচারক ডেকে পাঠানো সত্ত্বেও আদালতে হাজিরার বিষয়টি উপেক্ষা করা। তার জন্য দুই পুলিশ অফিসারকে ভর্ৎসনার পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ঈশিতা রায়। এক নাবালিকার উপরে যৌন হেনস্থার মামলার তদন্তে ত্রুটির অভিযোগে চন্দননগর থানার আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারকে আদালতের নির্দেশ, পকসো (শিশুদের উপরে যৌন নিগ্রহ) মামলার বিষয়ে পুলিশকর্মীদের সচেতন করুন।
আদালতের খবর, চন্দননগরবাসী এক পঞ্চদশী কিশোরীর উপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় থানা অভিযোগ নিতে চায়নি। আদালতে অভিযোগ জানানোর পরে বিচারকের নির্দেশে মামলা রুজু করে পুলিশ। নিয়ম অনুযায়ী নিগৃহীতার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদনও কোর্টে পাঠায়নি পুলিশ। আইসি এবং তদন্তকারীকে সোমবার তলব করেন বিচারক। ওই দুই পুলিশ অফিসার হাজির হননি। অভিযোগ, সরকারি কৌঁসুলি সত্যব্রত নাগ ও তমালী বিশ্বাসকে ডেকে আইসি জানান, তাঁকে ডেকে পাঠানোর অধিকার নেই কোর্টের। ওই দুই কৌঁসুলি তা লিখিত ভাবে আদালতে জানান। বিচারক তার পরে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন, ওই দুই পুলিশ অফিসারকে আদালতে হাজির করানোর ব্যবস্থা করা হোক।
গত মঙ্গলবার কোর্টে হাজির হয়ে দুই পুলিশ অফিসার জানান, নিগৃহীতা কোর্টে বয়ান দিতে অস্বীকার করেছে। যদিও আদালত নিগৃহীতা এবং তার মাকে জিজ্ঞাসা করায় তাঁরা জানান, পুলিশ জবানবন্দির কথা তাঁদের জানায়নি। দুই পুলিশ অফিসারকে তিরস্কার করেন বিচারক। আইসি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি কোর্টে আসতে পারেননি। সেই যুক্তিও মানেনি কোর্ট। সরকারি কৌঁসুলিদের ভূমিকার প্রশংসা করেছে কোর্ট। পুলিশ যাতে সরকারি কৌঁসুলিদের মর্যাদার বিষয়টি মাথায় রাখে, সেই ব্যাপারেও পুলিশ কমিশনারকে নজর দিতে বলা হয়েছে।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘নির্দেশ হাতে পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’’