প্রতীকী ছবি।
মুর্শিদাবাদে এসে পাট চাষিদের সমস্যার কথা শুনল সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)। বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে সোমবার সফররত পিএসি’র সদস্যেরা মুখোমুখি হয়েছিলেন জেলার পাট চাষি, পাটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য মানুষ এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে। পাট চাষিরা তাঁদের জানান, মুর্শিদাবাদ জেলায় সর্বোচ্চ পাট উৎপাদন হয় এবং তাঁরা তা বিক্রি করে দাম পান না। পাটজাত দ্রব্যের বিপণন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক রাজ্যের সাংসদ এবং প্রাক্তন মন্ত্রীও পাট চাষিদের হয়ে সওয়াল করেন।
পরিবেশ রক্ষায় প্রাকৃতিক তন্তুর ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এই প্রেক্ষিতেই পিএসি-র চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরীর মত, পাটজাত দ্রব্য তৈরির জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে জেলার পাট চাষিরা উপকৃত হবেন। সেই কারণেই দেশের মেট্রো শহর বাদ দিয়ে মফস্সল বহরমপুরে এ বার পিএসি-র বৈঠক করা হচ্ছে বলেও অধীরবাবু জানান।
পাট চাষিদের সমস্যা নিয়ে মত বিনিময় করতে ওই বৈঠকে জেলার সব বিধায়ক-সাংসদকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানেই রানিনগরের বিধায়ক ফিরোজা বেগম বলেন, “পাট ছাড়ানোর মেশিন দিয়ে কাঁচা পাট ছাড়িয়ে নিলে ছোট জলের ট্যাঙ্কেই পাট পচানো যায়। ওই মেশিন এবং প্রশিক্ষণ যদি সরকারি ভাবে চাষিদের দেওয়া হয়, তা হলে চাষিরা উপকৃত হবেন।” বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য, সাংসদ সত্যপাল সিংহ বলেন, “কৃষকদের কী কী সমস্যা আছে, কেন্দ্রের প্রকল্পগুলি রাজ্যে ঠিকমতো চলছে কিনা, কোথাও কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা, সে সবই আলোচনা করতে পিএসি-র বৈঠক বসেছে। আজকের বৈঠকে আমরা এখানে পাট চাষিদের কথাও শুনেছি।”
জল্পনা থাকলেও পিএসি-র ডাকে বৈঠকে আসেননি জুট কর্পোরেশনের নতুন চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠকে কংগ্রেসের ৯ জন ও বামেদের দুই বিধায়ক আনিসুর রহমান ও মহসিন আলি উপস্থিত থাকলেও শাসক তৃণমূলের কোনও বিধায়ক, সাংসদ, এমনকি জেলা সভাধিপতিও ছিলেন না। জেলা প্রশাসনের কৃষি আধিকারিকরা অবশ্য বৈঠকে যোগ দেন। শাসক দলের বিধায়কদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে অধীরবাবু বলেন, ‘‘সেটা তাঁদের ব্যাপার।’’ বিরোধী কংগ্রেসের কেউ অবশ্য এত দিন শাসক দলের কোনও অনুষ্ঠানে ডাক পেতেন না। সেই প্রসঙ্গ তুলে অধীরবাবুর মন্তব্য, “কেউ অধম হলে আমি উত্তম হব না কেন!”