বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আন্দোলন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে পড়ুয়াদের এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে হবে। তবে সেই সঙ্গেই বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, বিশ্বভারতীর দৈনন্দিন কার্যকলাপে বাধা দিতে পারবেন না আন্দোলনকারীরা। কোনও আধিকারিকের যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ করা যাবে না।
বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের আন্দোলন নিয়ে নির্দেশ হাই কোর্টের। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে। কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। তবে আন্দোলনে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী মামলায় এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আন্দোলন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে পড়ুয়াদের এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে হবে। তবে সেই সঙ্গেই বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, বিশ্বভারতীর দৈনন্দিন কার্যকলাপে বাধা দিতে পারবেন না আন্দোলনকারীরা। এমনকি, কোনও আধিকারিকের যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ করা যাবে না।
একই সঙ্গে পড়ুয়াদের আদালত জানিয়েছে, তাঁদের যা দাবি রয়েছে তা ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, হস্টেল খোলা-সহ কয়েক দফা দাবিতে গত তিন দিন ধরে আন্দোলন করছেন বিশ্বভারতীয় পড়ুয়াদের একাংশ। রেজিস্ট্রারের ঘর বন্ধ করে দিয়ে তাঁরা আন্দোলন করেন বলে অভিযোগ। টিএমসিপি এবং এসএফআই এক সঙ্গে আন্দোলন করছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে সুস্থ পঠনপাঠনের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। আন্দোলনে জড়িত এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধেও আদালতে অভিযোগ জানান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যদিও সংশ্লিষ্ট ছাত্রের আইনজীবী শামিম আহমেদ বৃহস্পতিবার দাবি করেন, তাঁর মক্কেল ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।