অমিত মালবীয়। ফাইল চিত্র।
বিধানসভার সদ্যসমাপ্ত বাজেট অধিবেশনে শাসক ও বিরোধী পক্ষের বিধায়কদের মধ্যে মারামারির ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে। তারও আগে থেকে সাসপেন্ডেড বিরোধী দলের আরও দুই বিধায়ক। সংসদীয় প্রথা মেনে সাসপেনশন চলাকালীন বিধানসভার ভিতরের অলিন্দ বা তাঁর নিজের ঘরেও বিরোধী দলনেতা ঢুকতে পারবেন না বলে তাঁকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল। সেই সঙ্গেই অধিবেশন কক্ষে মারামারির ঘটনার ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করায় স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হল এ রাজ্যে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়ের বিরুদ্ধে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে বাংলায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, বিধানসভার নিয়ম মেনেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে রামপুরহাটের ঘটনায় আলোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির জন্য বিজেপির দাবি ঘিরে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কেরা। ঘটনার দিনেই ওই মারামারির ছবি সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন মালবীয়। তাঁর ওই আচরণে বিধানসভায় স্বাধিকার ভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। স্পিকার বিমানবাবু শুক্রবার জানিয়েছেন, ওই অভিযোগ গ্রহণ করে স্বাধিকার কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশিই বিধানসভার সচিব বিরোধী দলনেতাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, সংসদীয় প্রথা অনুযায়ী সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকার সময়ে বিধানসভার ভিতরের অলিন্দ বা ভিতরে নিজের দফতরে ঢোকা যাবে না। বিধানসভার কোনও কমিটির বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সদস্য অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, কমিটির কোনও নোটিসও তাঁর কাছে যাবে না। এই সময়ের জন্য দৈনিক বরাদ্দ ভাতাও বিরোধী দলনেতা বা সাসপেন্ডেড কোনও বিধায়ক পাবেন না। তার প্রেক্ষিতে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে! দশ বছর পরে প্রথম বার বিরোধিতার সম্মুখীন হয়ে নাজেহাল অবস্থা মুখ্যমন্ত্রীর। তাই বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে হচ্ছে।’’ অভিযোগ খণ্ডন করে স্পিকারের দফতর এবং বিধানসভার সচিবালয়ের বক্তব্য, কোনও সদস্য সাসপেন্ড হলে যে সব নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, সেগুলিই স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।