Saokat Molla

অশান্তি ছড়ানোর জন্য বিরোধীরা আঙুল তুলেছেন তাঁর দিকে, সেই শওকতকে জেড নিরাপত্তা রাজ্যের

কালীঘাটে শনিবার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দলীয় বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সব্যসাচী দত্তকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩ ০৭:২২
Share:

ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শওকত মোল্লা। — ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড় ও ক্যানিং এলাকা। বিরোধীদের অভিযোগের তির ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শওকত মোল্লার দিকে। সেই শওকতকে এ বার জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্তত শওকত নিজে তেমনই জানিয়েছেন। এখন তাঁর ওয়াই প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা আছে। শওকতের নিরাপত্তার বহর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

Advertisement

কালীঘাটে শনিবার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দলীয় বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সব্যসাচী দত্তকে। তাঁর নজরদারিতেই কাজ করতে হবে শওককতদের। তার পরেই শওকতের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বিধায়ক শওকত বলেছেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিছু উপলব্ধি করেছেন। বিশেষ করে, ভাঙড়ের মাটিতে যে সন্ত্রাসের কার্যকলাপ চলছে, কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন, তার ফলে আমাকে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’ শওকতের আরও দাবি, ‘‘অনেক সমাজবিরোধীকে রাতের অন্ধকারে ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় ঢোকানো হয়েছিল। আমাদের রাজু নস্করকে যে ভাবে আইএসএফের সমাজবিরোধীরা নৃশংস ভাবে খুন করেছে, তাতে নজির তৈরি হল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব, যারা জড়িত, তাদের গ্রেফতার করতে হবে।’’ তাঁর নিরাপত্তার বহর বৃদ্ধি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা অবশ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

তবে শওকতকে নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জানেন, শওকত ভাল বোমা বাঁধতে পারেন। সেই গুণের জন্যই তিনি আজ বিধায়ক। তাঁকে জেড নিরাপত্তা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হল, বোমা-বাজির পথই তৃণমূলের পথ!’’ বহরমপুরে এই প্রশ্নে রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘নিরাপত্তা বাড়ানো বা কমানো প্রশাসনের ব্যাপার। তবে দিদির দলের হার্মাদ বাহিনীর নেতাদেরও এখন নিরাপত্তা বাহিনীর দরকার পড়ছে। এটা দেখতে ভাল লাগছে, একটা তৃপ্তি আসছে!’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরও দাবি, ‘‘ভাঙড়ে মনোনয়ন ঘিরে গোলমালের মূল মাথা যিনি, তাঁরই নিরাপত্তা বাড়ানো হল। মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, দুষ্কৃতী-সুলভ কাজই তাঁর দল ও সরকারের পছন্দ!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement