প্রতীকী ছবি।
গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে ‘ওপেন ওয়ারেন্ট’ জারি করেছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সিবিআই ও আইনজীবীদের সূত্রের খবর, সাধারণ ওয়ারেন্ট বা পরোয়ানার সাহায্যে দেশের যে-কোনও প্রান্তে লুকিয়ে থাকা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি অন্য কোনও দেশে লুকিয়ে থাকলে তাঁকে গ্রেফতারের আগে ইন্টারপোলের অনুমতি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারি করতে হয়। ইন্টারপোলের অনুমতি নেওয়ার আগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘ওপেন ওয়ারেন্ট’ জারি করতে হয়।
বিনয় এই মুহূর্তে দুবাইয়ে গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছে সিবিআই। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ওপেন ওয়ারেন্ট জারি করে আদালত। বিনয়ের ভাই বিকাশ মিশ্রও পলাতক।
সিবিআই সূত্রের খবর, গরু পাচার কাণ্ডে মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অংশুমান রায়কে আবার নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তিনি এখন আসানসোল কমিশনারেটে কর্মরত। জানুয়ারিতে মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের প্রাক্তন ডিআইজি কল্লোল গনাই ও পুলিশকর্তা তথাগত বসু-সহ ১২ জন পুলিশ অফিসারকে তলব করা হয়েছিল। তথাগতবাবু এবং অন্য কয়েক জন পুলিশ অফিসার সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন। অংশুমানবাবু ও কল্লোলবাবু সিবিআইয়ের নোটিসের আইনি বৈধতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তার কোনও শুনানি এখনও হয়নি। দ্বিতীয় দফায় কল্লোলবাবুর কাছেও নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানান তদন্তকারীরা। আগামী সপ্তাহের শুরুতে অংশুমানবাবু ও কল্লোলবাবু সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।