Kalyani AIIMS

কল্যাণী এমসে চালু হচ্ছে আউটডোর

Advertisement

সুস্মিত হালদার

কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:১৮
Share:

কল্যাণী এমস। নিজস্ব চিত্র

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে চিকিৎসা শুরু হতে চলেছে কল্যাণী এমসে। আগামী ২৭ জানুয়ারি, বুধবার প্রাথমিক ভাবে আটটি বিভাগে চালু হচ্ছে আউটডোর। তবে এমস কর্তৃপক্ষ জানান, এখনই বিরাট সংখ্যক রোগী দেখা হবে না। আগে থেকে ‘রেজিস্ট্রেশন’ করাতে হবে। পরে ধাপে ধাপে অন্য বিভাগ চালু করা হবে।

Advertisement

নদিয়ায় কল্যাণীর বসন্তপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে প্রায় আঠারোশো একর জমির উপরে তৈরি হয়েছে এমস হাসপাতাল। ২০১৬ সালে হাসপাতালের ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১৯ সালে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়। নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ায় ক্লাস হতে থাকে কল্যাণীর কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালে। গত বছর আরও ১২৫ জন পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে জেএনএম হাসপাতালের পরিবর্তে নিজস্ব ভবনেই পঠনপাঠন শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা যায়নি। এ বার আউটডোর চালু করার মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে।

এমস সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে আটটি বিভাগে এক জন করে চিকিৎসক আছেন। তাঁরাই সপ্তাহে পাঁচ দিন অর্থাৎ সোম থেকে শুক্রবার আউটডোরে রোগী দেখবেন। বিভাগগুলি হল জেনারেল মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, স্ত্রী ও ধাত্রীবিদ্যা, শিশু, চর্ম, চক্ষু, ইএনটি (কান-নাক-গলা) ও মনোরোগ। আউটডোর খোলা থাকবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

Advertisement

তবে গেলেই আউটডোরে ডাক্তার দেখানো যাবে না। আগে থেকে নাম ‘রেজিস্ট্রেশন’ করাতে হবে। এমসের অধিকর্তা রামজি সিংহ জানান, আপাতত দিনে দেড়শো থেকে দুশো জন রোগী দেখা হবে। এখনও সব রকমের যন্ত্রপাতি এসে পৌঁছয়নি। সে সব ছাড়াও পরে আরও চিকিৎসক আসবেন। রামজি বলেন, “আমাদের হাত আটটি বিভাগে মাত্র এক জন করে চিকিৎসক আছেন। রোগী দেখতে সময় অনেকটাই সময় লাগে। সেই কারণে প্রাথমিক ভাবে আউটডোর চালু করা হলেও এখনই খুব বেশি রোগী দেখা সম্ভব হবে না। ধীরে ধীরে আমরা সমস্ত বিভাগ চালু করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement