সেই নোটিস। নিজস্ব চিত্র
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সোমবার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বভারতীর শিক্ষক, আধিকারিক, শিক্ষা-কর্মীদের যে সংগঠনগুলি রয়েছে তার নেতৃত্ব বা সাধারণ সদস্যপদে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কর্মচারী ছাড়া কোনও ব্যক্তি এখন থেকে সদস্য হতে পারবেন না।
গত মাসে বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির বৈঠকে সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্বভারতীতে যে সংগঠনগুলি রয়েছে তার সদস্য হতে গেলে স্থায়ী কর্মচারী হতে হবে। তা ছাড়া অন্য কেউ বিশ্বভারতীর সংগঠনগুলির সদস্য হতে পারবেন না। এর পরেই ৪ তারিখ বিশ্বভারতীর তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হল। এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছে অধ্যাপক সভা। অধ্যাপক সভার সভাপতি অরবিন্দু মণ্ডল বলেন, ‘‘একে স্বাগত জানাই। এই নিয়ম সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যে কোনও সংগঠনের সদস্যদের এই নিয়ম মেনে চলা উচিত।’’
যদিও শিক্ষাকর্মীদের সংগঠন কর্মিসভার সভাপতি গগন সরকার এই নির্দেশের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীতে যে সমস্ত ভলান্টারি সংগঠন রয়েছে, সেই সংগঠনগুলির কে সম্পাদক বা কে সভাপতি হবেন তা ঠিক করেন সংগঠনের সদস্যরাই। কর্তারা ঠিক করেন না। তাই এটা কী ভাবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ করতে পারেন?’’ বিশ্বভারতীর কর্মীমণ্ডলীর সদস্য এবং শিক্ষাকর্মী সুব্রত মণ্ডল ও ভ্রমর ভাণ্ডারী অবশ্য বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। যে কোনও সংগঠনের কর্মী স্থায়ী হলে তবেই তাঁকে সংগঠনের সদস্য করা উচিত।’’