ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হল ডেঙ্গি আক্রান্ত এক মহিলার। বারুইপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৫ জন।
মৃতার নাম অনিমা সর্দার। বয়স ৪৫ বছর। প্রথমে তিনি বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এর পর বৃহস্পতিবার সেখান থেকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোমায় চলে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। তাঁর ‘শক সিনড্রোম’ ছিল। রক্তপাত হচ্ছিল। বাঙুর হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। শুক্রবার সকালে সেখানেই মারা গিয়েছেন তিনি। মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।
চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে, যাঁরা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ন’মাসের শিশু, ১০ ও ১৩ বছরের বালিকার পাশাপাশি আরও দু’জন তরুণী এবং এক বৃদ্ধ রয়েছেন। তাঁরা কলকাতা, দক্ষিণ দমদম, বারাসত, নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। শুক্রবার বারুইপুরের এই মহিলার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য-সহ বিভিন্ন দফতর এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। চলতি বর্ষার মরসুমে ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসন কতটা প্রস্তুত, তা খতিয়ে দেখা হয়। প্রশাসনের একেবারে শীর্ষ থেকে ব্লক স্তরের মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি, ডেঙ্গি মোকাবিলা এবং চিকিৎসার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছে স্বাস্থ্যভবনও। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে জ্বরের জন্য আলাদা ক্লিনিক (ফিভার ক্লিনিক) খোলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।