আক্রান্ত মিন্টু পাইক হুগলি জেলার একটি হাই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক। নিজস্ব চিত্র।
মহার্ঘভাতা (ডিএ)-র দাবিতে ধর্না মঞ্চে যোগ দেওয়া হুগলির এক শিক্ষক এবং তাঁর দিদিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্রযুব কর্মীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত শিক্ষকের নাম মিন্টু পাইক। তিনি হুগলি জেলার একটি হাই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক। একটি শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গেও তিনি যুক্ত রয়েছেন। বুধবার দিদিকে নিয়ে ডিএ-র ধর্না মঞ্চে যোগ দিতে এসেছিলেন মিন্টু। সেখানেই তাঁকে এবং তাঁর দিদিকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও উত্তর কলকাতার তৃণমূল যুবনেতৃত্বের দাবি, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। সংযত ভাবে তাঁদের কর্মীরা সভায় অংশ নিয়েছেন। কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবশ্য অভিযোগ, ধর্না মঞ্চ থেকে শৌচালয়ের দিকে গিয়েছিলেন মিন্টু। সঙ্গে তাঁর দিদিও ছিলেন। সে সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দিতে মিছিল করে আসছিলেন তৃণমূলের ছাত্রযুবর একটি দল। অভিযোগ, মন্টুর কাছে ডিএ-র ধর্না মঞ্চের ব্যাজ দেখে প্রায় জনা পনেরো-কুড়ি তৃণমূলের ছাত্রযুব কর্মী তাঁদের দিকে তেড়ে আসেন। এর পর তাঁদের মিন্টু এবং তাঁর দিদিকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে পুলিশের বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আক্রান্তদের নিয়ে গান্ধীমূর্তির মুখে অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও পুলিশ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যেতে সাহায্য করেনি।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দিদিকে নিয়ে ডিএ-র ধর্না মঞ্চে যোগ দিতে এসেছিলেন মিন্টু। সেখান থেকে তিনি শৌচালয়ের দিকে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই ছাত্রযুবর একটি দল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। ধর্না মঞ্চের তরফে বুধবার সকলকে একটি করে ব্যাজ দেওয়া হয়েছিল। সেই ব্যাজ দেখেই মিন্টুকে বলা হয়, ‘তোদের ডিএ চাই? দেখাচ্ছি মজা’। এর পর মিন্টু এবং তাঁর দিদির উপর চড়াও হয়ে মারধর করে ওই ছাত্রযুবর দল।’’