রেবতীমোহন বিশ্বাস। — নিজস্ব চিত্র।
ভোটের ডিউটিতে গিয়ে সেরিব্র্যাল অ্যাটাক হয়েছিল প্রিসাইডিং অফিসারের। তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত বুধবার রাতে মৃত্যু হল তাঁর। মৃতের নাম রেবতীমোহন বিশ্বাস। এমনটাই দাবি করেছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ।
যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সূত্রে জানা গিয়েছে, রেবতীমোহন নদিয়ার তেহট্টে হাঁসপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। নদিয়ার করিমপুর-১ ব্লকের একটি বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওই মঞ্চের দাবি, গত ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ভোরবেলা তিনি আক্রান্ত হন সেরিব্র্যাল অ্যাটাকে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গাফিলতি হয় বলেও অভিযোগ ওই মঞ্চের। এর পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বুধবার রাতে কল্যাণীর একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ঘটনায় করিমপুর-১ ব্লকের বিডিওর বিরুদ্ধে রেবতীমোহনের উপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগও তুলেছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। তাদের দাবি, রেবতীমোহনের নাম রিজার্ভ তালিকায় থাকলেও তাঁকে জোর করে ডিউটিতে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা মঞ্চের তরফে জানিয়েছেন ভাস্কর ঘোষ। এ ছাড়া রেবতীমোহনের পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য এবং চাকরির দাবিও তুলেছেন তাঁরা। কমিশনের তরফে সদুত্তর না পেলে হাই কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভাস্কর।
তেহট্টের মহকুমা শাসক মৌমিতা সাহা বলেন, ‘‘ভোট পর্ব শুরু হওয়ার অনেক আগেই উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। উনি যে বুথের দায়িত্বে ছিলেন সেখানে রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও ওঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’’