(বাঁ দিকে) হাবড়া ২-এর তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি এবং (ডান দিকে) রাজীব সিংহ। ফাইল ছবি।
ভোটে হারছেন বুঝে বিপক্ষের ‘ব্যালট পেপার খেয়ে ফেলেছিলেন’— পঞ্চায়েত ভোটের সেই তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটির বুথে পঞ্চায়েত ভোটই বাতিল করে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাজ্যের আরও ১৯টি বুথের ভোট বাতিল করল তারা।
বুধবারই শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের গণনা। ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসনের। গণনা শেষের পরই কমিশনের তরফে জারি করা হয়েছে ভোট বাতিলের বিজ্ঞপ্তি। তাতেই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে ব্যালট পেপার নষ্ট করায় রাজ্যের ২০টি বুথে আবার হবে পঞ্চায়েত ভোট।
মূলত তিনটি জেলার তিনটি ব্লকেই বাতিল হয়েছে ভোট। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২, হাওড়ার সাঁকরাইল এবং হুগলির সিঙ্গুর। এই তিন ব্লকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বুথে ভোট বাতিল হয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইলে। মোট ১৫ বুথে ভোট বাতিল করা হয়েছে সেখানে। এর পরেই হাবড়া ২। এই ব্লকেরই ভুরকুণ্ডা গ্রামের ৩১ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব। নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার মহাদেবের ওই বুথ-সহ হাবড়া ২-এর মোট ৪টি বুথের ভোট বাতিল করেছে। এ ছাড়া সিঙ্গুরেরও একটি বুথে ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
তবে নির্বাচন কমিশন তাঁর বুথে ব্যালট নষ্টের কথা বললেও, মহাদেব তার আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, তিনি ব্যালট পেপার খাননি। এমনকি এ কথাও বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যালট খাওয়ার যে রটনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যা শোনা গিয়েছিল, তা হল, মহাদেব ৪ ভোটে হারছিলেন। সেই সময়েই বিপক্ষের ব্যালট পেপার খেয়ে নেন। যদিও মহাদেবের দাবি, যাঁরা এ কথা বলছেন, তাঁরা প্রমাণ ছাড়াই বলছেন। তিনি কখনওই গণনায় পিছিয়ে ছিলেন না। বরং ২৬ ভোটে জিতছিলেন। সে জন্যই বিরোধীরা তাঁর নামে ওই রটনা রটিয়েছেন। তবে মহাদেব ব্যালট খান বা না খান, নির্বাচন কমিশনের বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্তে তাঁকে নিয়ে এই রটনা ‘মাটি’ হল।
আপাতত কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী যে বুথগুলিতে ভোট বাতিল হয়েছে সেগুলি হল— সাঁকরাইলের মানিকপুর ২৪৭ থেকে ২৫৪ নম্বর পর্যন্ত মোট ন’টি বুথ। সারেঙ্গার ২৬৭, ২৬৮ (দু’টি), ২৭১ (দু’টি) এবং ২৭৭ নম্বর বুথ। সিঙ্গুরের বেরাবেরির ১৩ নম্বর বুথ। এবং হাবড়া ২-এর ভুরকুণ্ডার ১৮ নম্বর বুথ (দু’টি), ৩১ নম্বর বুথ এবং ওই গুমা পঞ্চায়েত কেন্দ্রের ১২০ নম্বর বুথ।