প্রতীকী চিত্র।
মইনুল মণ্ডলের সঙ্গে শুধু বন্ধুত্বই নয়, কেরলে এক সঙ্গে কাজ করত জলঙ্গির বিশ্বাসপাড়ার মুন্না সরকার। লকডাউনে একসঙ্গেই গ্রামে ফিরেছিল তারা। শুক্রবার আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে মইনুল গ্রেফতারের পরেই উধাও হয়ে গিয়েছে মুন্না।
শনিবার এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদের সীমান্ত ঘেঁষা ডোমকল-জলঙ্গি থেকে ৬ জঙ্গিকে গ্রেফতার করলেও তাদের তালিকায় থাকা আরও অন্তত চার জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মুন্না সেই তালিকার অন্যতম নাম বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার খবর।
সদ্য সবুজ রং পড়েছে বিশ্বাসপাড়ার সাজানো একতলা বাড়িতে। সোমবার দুপুরে সে বাড়িতে পা রাখতে, মুন্নার দাদি রাহেমা বিবি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘‘পাকা ঘর, সবুজ রং— কোনওটাই মুন্নার পয়সায় নয়। এ বাড়ির সংস্কার হয়েছে তিন কাঠা জমি বেচে।’’ তবে নাতির কথা মনে পড়লেই চোখ ভিজে উঠছে তাঁর। বলছেন, ‘‘মধুবোনা গ্রামের মইনুলের সঙ্গে ওর বন্ধুত্ব ছিল, মইনুল ধরা পড়তেই সবাই বলতে লাগল, ‘ও তো মুন্নার বন্ধু’। ভয়
পেয়ে ছেলেটা ঘর ছেড়ে কোথায় যে গা ঢাকা দিল!’’ বিশ্বাসপাড়ার কোল ঘেঁষে পদ্মার বাঁক। তার পরেই বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার ছোট-বড় গ্রাম এ পার থেকেই দেখা যায়। মুন্নার বাড়ির অদূরেই বিএসএফের বিশ্বাসপাড়া বিওপি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জাল কেটে মুন্না পালাল কী করে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের তালিকায় মুন্নার নাম ছিল মুন্না আনসারি। এই নাম বিভ্রাটের ফলেই বিশ্বাস পাড়ায় পৌঁছেও মুন্নার বাড়ি খুঁজে পায়নি তারা। আর সেই সুযোগেই শনিবার ভোরেই গা ঢাকা দেয় মুন্না। মইনুলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাই নয়, সীমান্ত এলাকায় মুন্নার বাড়িটিও জঙ্গিরা ব্যবহার করত বলে জানতে পেরেছেন কোন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আর সেই সূত্রেই তার খোঁজ শুরু করেছিল এনআইএ। কিন্তু মুন্নার কোনও ছবি তাদের সঙ্গে ছিল না।
এ দিন মুন্নার মা জেসমিনা বিবিও জানিয়ে দেন, ‘‘না, ওর কোনও ফটো নেই আমাদের কাছে।’’