প্রতীকী ছবি।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের জঙ্গলে কাছে মাছ, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। রবিবার সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীনস্ত ঝিলার জঙ্গলে ঘটনাস্থলেই ওই মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয় জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় এবং বন দফতর সূত্রে খবর, কালীপদ সর্দার(৬০) নামে ওই মৎস্যজীবী সুন্দরবন উপকূল থানার ছোট মোল্লাখালির বাসিন্দা। সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়িতে মাছ ধরায় ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বছরের এই সময় কোনও মৎস্যজীবীকেই নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। অথচ রবিবার একটি নৌকো নিয়ে ছোট মোল্লাখালির বেশ কয়েক জন মৎস্যজীবী বেআইনি ভাবে সুন্দরবনের জঙ্গলের কাছাকাছি মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কালীপদও।
রবিবার সকালে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতাধীন ঝিলার জঙ্গলের কাছে মাছ, কাঁকড়া ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মৎস্যজীবীরা। সে সময় আচমকাই জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে কালীপদর উপর। তাঁকে টেনেহিঁচড়ে জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাঘটি। কালীপদ সঙ্গীরা লাঠি ও নৌকোর বৈঠা নিয়ে বাঘের উপর বার বার পাল্টা হামলা করতে থাকেন৷ দীর্ঘ ক্ষণ এ ভাবে চলার পর শিকার ছেড়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায় বাঘটি।
কালীপদ সঙ্গীরা তড়িঘড়ি তাঁকে নৌকোয় তুলে গ্রামের দিকে রওনা দেন। তাঁদের দাবি, বাড়ির পথে ফেরার সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মারা যান কালীপদ। পরে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। যদিও এই বিষয়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সহ-ক্ষেত্র অধিকর্তা জোনস জাস্টিন বলেন, ‘‘সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ ধরতে ঢুকেছিলেন ওই মৎস্যজীবীরা। নিহত মৎস্যজীবীর সঙ্গে আর কারা ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।