তিতলির দাপট। নিজস্ব চিত্র।
ওড়িশা-অন্ধ্রে দাপট দেখানোর পরে শক্তি হারিয়েছিল ‘তিতলি’। এ রাজ্যে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। শুক্রবার ছবিটা বদলে গেল। কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ গেল একজনের, জখম আরও সাত।
বেলা বারোটা নাগাদ ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ে খড়্গপুর গ্রামীণের কলাইকুন্ডার শিল্পাঞ্চল এলাকা তছনছ হয়ে গিয়েছে। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ধুলিয়াপোতা, কপোতিয়া, মাঝিপাড়া, শোভাপুর-সহ কয়েকটি গ্রামে ক্ষতির পরিমাণ সব থেকে বেশি। ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে কপোতিয়ার ইলিয়াস মল্লিক (৩৭)-এর। ঝড়ে আশপাশের বিভিন্ন কারখানার ৬ জন কর্মীও জখম হন। কারও মাথায় কারখানার ছাউনি ভেঙে পড়ে, কেউ আহত হন ইটে। জখমদের চিকিৎসা চলছে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। জখম যোগেশ মাহাতো বলেন, “বাগানে কাজ করছিলাম। ঝড় ওঠায় একটা ঘরে আশ্রয় নিই। কিন্তু ঘরের ছাউনি উড়ে মাথায় ইট ছিটকে পড়ে।” ঝড়ের মধ্যে ডেবরা থেকে জাতীয় সড়ক ধরে নিমপুরায় যাওয়ার পথে সাদাতপুর ফাঁড়ির কাছে ঝড়ে উল্টে যায় একটি ট্রাক। জখম হন চালক সুশান্ত নায়েক।
এ দিনের দুর্যোগে মৃত ইলিয়াস সংসারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। স্থানীয় একটি কারখানার নিরাপত্তারক্ষী কাজ করতেন তিনি। স্বামীকে হারিয়ে দিশাহারা ইলিয়াসের স্ত্রী মর্জিনা বিবি। মর্জিনা বলেন, “কী ভাবে সংসার চালাব, পাঁচটা ছেলের মুখে ভাত তুলে দেব জানি না।” ইলিয়াসের দাদারও বক্তব্য, “ওর ছেলেরা নাবালক। সাহায্য না পেলে পরিবারটা ভেসে যাবে।”