প্রতীকী ছবি
অসম থেকে হাওড়ায় আসা এক যুবকের হত্যা-রহস্যের জট খোলেনি বুধবারও। তবে ওই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বিজয় গুপ্ত নামে শিবপুরের এক খাবারের দোকানের মালিককে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারীদের দাবি, বিজয় বেশ কিছু মিথ্যে কথা বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তাই তাঁকে গ্রেফতার করে আট দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার যে পথ দিয়ে ভীম ভট্টরাই নামে ৩৪ বছরের ওই যুবক শিবপুর বাজারের কাছে এসেছিলেন, সেই পথে লাগানো সিসি ক্যামেরার ছবি পরীক্ষা করে তেমন সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) স্বাতী ভাঙালিয়া এ দিন বলেন, ‘‘এই ঘটনায় হোটেল মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, বিজয়ই ভীমকে হোটেলে নিয়ে এসেছিলেন। ওই হোটেল থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি দৌড়তে শুরু করেন।’’
অসমের কার্বি আংলং জেলার বাসিন্দা ভীমকে মঙ্গলবার সাতসকালে শালিমারের নয় নম্বর পিটিআর সাইডিং-এর কাছে দৌড়ে এসে পড়ে যেতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে জানা যায়, ওই যুবক কাজের সন্ধানে এসে শিবপুরের রাজনারায়ণ রায়চৌধুরী ঘাট রোডের একটি হোটেলে কাজ পেয়েছিলেন। সেখানে কাজ করার সময়েই হঠাৎ হোটেল থেকে বেরিয়ে দৌড়তে শুরু করেন ভীম। প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে নয় নম্বর পিটিআর সাইডিং পর্যন্ত গিয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি।
দেখা যায়, তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ফলে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে এসেছে। পেটের আরও কয়েকটি জায়গায় ছুরি দিয়ে আঘাতের চিহ্নও দেখা যায়। এলাকার লোকজন ওই যুবককে একটি টোটোয় তুলে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কিছু ক্ষণ পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, অসম থেকে ট্রেনে বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা থাকলেও ওই যুবক কেন হাওড়া স্টেশনে নেমে শিবপুরে এসেছিলেন, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।
হাওড়া স্টেশনের বাইরে কয়েকটি ঠিকাদার সংস্থা আছে, যারা কাজের আশায় আসা শ্রমিকদের বিভিন্ন হোটেল, পানশালা বা কারখানায় চুক্তির ভিত্তিতে পাঠায়। তেমন কোনও সংস্থা ওই যুবককে শিবপুরে পাঠিয়েছিল কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরা হাওড়ায় আসছেন। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।