হাতের মধ্যে বোমা। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নদিয়ার চাপড়ায় বোমা ফেটে জখম এক কিশোর। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে চাপড়া থানা এলাকার দুর্গাপুর গ্রামে। বিস্ফোরণে জখম ন’বছরের ওই কিশোরকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চাপড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। বুধবার বিকেলের ওই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে পুলিশ। তবে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার এস অমরনাথ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ জমা হয়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, চোপড়ার দুর্গাপুর গ্রামে ওই কিশোরের বাড়ির কাছেই ঝোপে ঘেরা একটি পরিত্যক্ত জায়গা রয়েছে। বুধবার বিকালে সেখানেই খেলছিল ওই কিশোর। সেই সময়েই ঝোপের মধ্যে গোলাকার ওই বস্তুটি দেখতে পায় সে এবং বল ভেবে হাতে তুলে নেয়। এর পর সেটি নিয়ে বাড়িতে চলে আসে কিশোর। বাড়ি ফেরার পর, বাড়ির সামনেই সেটি নিয়ে খেলছিল ওই কিশোর। তখনই আচমকা বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠেছিল এলাকা। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছটফট করছিল ন’বছরের ওই কিশোর। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে চাপড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে পাঠানো হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে।
কে বা কারা ঝোপের মধ্যে বোমা রেখে দিয়েছিল, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার এস অমরনাথের সঙ্গে চাপড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। তবে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ এখনও হয়নি। অভিযোগ পেলে নিশ্চিত তদন্ত হবে।”