Somen Mitra

Somen Mitra: সোমেন মিত্রের বাৎসরিকে স্ত্রী শিখাকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর

প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের বাসভবনেই মঙ্গলবার আয়োজিত হয় তাঁর বাৎসরিকের অনুষ্ঠান। রাতে শিখা মিত্রকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী।   

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২১ ১৫:৫৭
Share:

প্রয়াত সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখাকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার ছিল প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর বাৎসরিক। সেই উপলক্ষ্যে তাঁর বাসভবনেই আয়োজিত হয় বাৎসরিকের অনুষ্ঠান। যাবতীয় অনুষ্ঠান শেষে রাতে শিখা মিত্রকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। গত বছর ৩০ জুলাই প্রয়াত হন সোমেন। তিথি অনুযায়ী ১৭ অগস্ট ছিল তাঁর বাৎসরিকের কাজ। তাঁর প্রয়াণের পরেও মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে মিত্র পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার কথা জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে বাৎসরিক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

Advertisement

শিখা বলেন, ‘‘ভোটে জেতার পর জুন মাসেও মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে আমি জানিয়েছিলাম ১৭ অগস্ট সোমেনবাবুর বাৎসরিকের কথা। তাই সেই দিনেই তিনি আমাকে ফোন করলেন। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কথা হয়েছে।’’ হাজারও ব্যস্ততার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী এমন দিনে ফোন করায় খুশি মিত্র পরিবার। তবে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও, শিখাকে ফোন করেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায় ও চৌরঙ্গীর বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ১ জুলাই বিধান ভবনে বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনের এক অনুষ্ঠানে চৌরঙ্গীর তৎকালীন বিধায়ক শিখা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্ম নিয়ে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে তৃণমূল ছেড়ে সস্ত্রীক কংগ্রেসে ফিরে আসনে সোমেন। তার আগেই তৃণমূলের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শিখা। সেই সময় থেকেই তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল না মিত্র পরিবারের। কিন্তু গত বছর সোমেন অসুস্থ হলে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। ফের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। সোমেনের প্রয়াণের পরেও রাজ্য সরকারের সহযোগিতা পেয়েছিলেন তাঁরা। আর বিধানসভা ভোটে তাঁকে না জানিয়েই চৌরঙ্গী কেন্দ্রে শিখার নাম ঘোষণা করে দেয় বিজেপি। ক্ষোভ প্রকাশ করে গেরুয়া শিবিরের টিকিট প্রত্যাখান করে ভোটে লড়েননি শিখা। তখনও মিত্র পরিবারের এই সিদ্ধান্তে খুশি ছিল তৃণমূল শিবির।

ফলস্বরূপ ভোটে জয়ের পরেই মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন শিখাকে। সূত্রের খবর, সোমেন-জায়াকে কোনও সরকারি পদে বসানো হতে পারে। তবে মায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ফোনালাপকে নেহাতই সৌজন্য বলে ব্যাখ্যা করেছেন সোমেন তনয়। তিনি বলেছেন, ‘‘মায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তাই বাবার বাৎসরিক উপলক্ষে তিনি মাকে ফোন করেছিলেন। এতে অহেতুক রাজনীতি খোঁজা ঠিক নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement