মদন মিত্র। — ফাইল চিত্র।
ছবিমুক্তির দিনেও বিধানসভায় হাজির রাজনীতিক মদন মিত্র। শুক্রবার তাঁর প্রথম বাংলা সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর ছবি ‘ওহ লাভলি’ ছবিতে অন্যতম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন কামারহাটির বিধায়ক। অনেকেরই ধারণা ছিল, শুক্রবার ছবিমুক্তির কারণে হয়তো মদন অনুপস্থিত থাকবেন। কিন্তু বেলা বাড়তেই বিধানসভার অধিবেশনে জামাই বেশে হাজির হন এই ‘কালারফুল’ নেতা।
গত কয়েক দিন ছবির প্রচারে সময় দিয়েছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও নিয়ম করে প্রতি দিন বিধানসভার বাদল অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন মদন। চোখে রে-ব্যানের সানগ্লাস, পরনে ধবধবে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরে অধিবেশনে মদনকে যোগদান করতে দেখেই একে একে মন্ত্রী-বিধায়কেরা তাঁকে অভিনয় জীবনের সূচনার জন্য শুভেচ্ছা জানালেন। অধিবেশন চলাকালীন বেশির ভাগ মন্ত্রী-বিধায়কদের আসনে গিয়ে ছবি দেখার অনুরোধও করেন মদন।
বিধানসভার অধিবেশন শেষ হতেই বরাহনগরের সোনালি সিনেমা হলের উদ্দেশে রওনা হন মদন। সেখানেই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সন্ধ্যায় ছবি দেখবেন তিনি। কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘‘আগামী কয়েক দিনে কলকাতা ও শহরতলিতে যে সমস্ত জায়গায় ছবিমুক্তি পেয়েছে সেই সব হলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমি গেলে সিনেমা হলগুলোতে বেশি ভিড় হবে।’’ নিজেই জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মোট ৭০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি।
‘ওহ লাভলি’ ছবির পোস্টার (বাঁ দিকে)। শুক্রবার বিধানসভায় মদন মিত্র (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
মদন বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান। প্রায় প্রতি দিনই পরিবহণ দফতরে নিজের বরাদ্দ ঘরে বসেন তিনি। তাঁর ছবির প্রচারের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছেন তাঁর অনুগামীরা। দাদার ছবির প্রচারের কাজ কী ভাবে হবে, সেই দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন সিটিসি কন্ট্রাকচুয়াল বাস শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা। সারা শহর জুড়ে রাইফেল হাতে মদনে ছবির পোস্টার ব্যানার হোডিং লাগিয়েছেন তাঁরাই। ইউনিয়নের অন্যতম নেতা মদনের অনুগামী ঝিলিক অধিকারী বলেছেন, ‘‘দাদার সিনেমার প্রচারে আমরা দিনরাত খেটেছি। বেশ কয়েক বার দেখব, তার পরিকল্পনাও তৈরি। তবে সবাই একসঙ্গে নয়, আলাদা আলাদা করে ছবি দেখব। বার বার তো আর মদনদাকে বড় পর্দায় দেখার সুযোগ আসবে না।’’